আমার সমস্ত অভিমান লিখে দিয়ে অরণ্যের বুকে,
বিদায় নেবো তোমার নির্লিপ্ত সংসারের মায়াজাল থেকে,
বেঁধে দিয়ে যাবো জীবনের সব প্রপ্তিগুলো,
তোমার উজ্জ্বল ঠোঁটের নির্বিকার হাসির আঁচলে,
হয়তো আর দেখা হবেনা মধ্যেরাতের স্বপ্নের ভীড়গুলো,
কেমন করে পূর্ণতা পায় জীবন অলিন্দে,
হয়তো হাসবে না আর কখনোই জোৎস্না ঝরা শঙ্খ চাঁদ,
আগমনী সময়ের ঢেউ তোলা অর্ণবের বুকে।

বহুদিন পরে আবার পদার্পন সেই পথে,
একাকিত্বের নির্বাক সুখ মাখা ধূসর আঁকাবাঁকা চিরচেনা,
আবার হবে কথা একাকী কবিতার সাথে,
হাতে হাত রেখে,নিরুপদ্রব নগরের বাতায়নে শার্শি পথে,
আবার হারিয়ে যাবে সুর কোন পথে করুন হয়ে,
যমুনা তীরে বেজে উঠবে শ্যামের ব্যথার কষ্ট বাঁশি,
আবার কোন ল্যাম্পপোষ্টের নীচে দাঁড়াবো,
লিখে যাবো অলেখ জীবনের কাব্যগুলো নীল আঁচড়ে।

শতাব্দীর বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে পাঠাবো এক নির্ভেজাল বার্তা,
তোমায়, নিভৃত জানালার পর্দার আড়াল হতে,
সাথে থাকবে একটি সুন্দরতম অনুপম উপহার- আয়না,
অবসরে দেখবে নিজেকে গভীর নয়নে তাকিয়ে,
বুঝবে নিষ্পলক চোখের তারায় কতো অবহেলা লুকানো,
তোমার অবয়বের নতুন রূপ ঝরবে অঝোরে,
জ্বলবে আমার নিষ্পাপ ভালোবাসার অভিশপ্ত অনলে,
আয়নায় ভাসবে তোমার প্রতারণার প্রতিবিম্ব।
_________________
রচনাকাল উষ্ণ হলুদ দুপুর  ২.৫০
৩ এ জুন শনিবার ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ  
২০-এ  জ্যৈষ্ঠ  ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
১৪-ই  যিলক্বাদ  ১৪৪৪ হিজরী  
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
©️ Copyright সংরক্ষিত ®