শুভ্র নামের আমাদের এক বন্ধু আছে ,
একসাথে বড় হয়েছি তপ্ত রোদে ঘেমে, বৃষ্টিতে ভিজে,
নদীতে সাঁতার কেটে, এক স্কুলে, এক ক্লাসে, এক মাঠে খেলে।
আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মেধাবী, সব চেয়ে বেশি উদাসীন,
যখন আমরা ক্লাসে স্যারের বক্তব্য শুনতাম,
তখন আমরা ভাবতাম কেউ ডাক্তার হবো কেউ ইঞ্জিনিয়ার,
তখন শুভ্র চেয়ে থাকতো আকাশের দিকে,
হয়তো মনে মনে ভাবতো একদিন পূর্ণিমা রাতের জোৎস্না হবে,
সুপ্ত গগনের নক্ষত্র হবে, আকাশের বুকে মেঘ হবে,
জীবনের সীমানা পেরিয়ে মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ে বেড়াবে সুদূর নীলিমায়,
এতগুলো বছর পার হয়ে গেলো কিন্তু শুভ্র আজো কিছুই হতে পারেনি।
আজ আমরা কেউ ডাক্তার হয়েছি, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আর্কিটেক্ট,
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে বৃষ্টি দেখি,
স্বচ্ছ কাঁচের পর্দা সরিয়ে জ্যোৎস্না দেখি,
আধো নেভা নীলাভ আলোর বিছানায় স্বপ্ন দেখি।
কিন্তু শুভ্র ?
নির্বিকার কোন এক রুক্ষ আঁধার ঘেরা কক্ষে বসে,
আনমনে লিখে যায় অদেখা ভবিষ্যতের পাণ্ডুলিপি।
শুভ্র নামের সেই বন্ধুটি আজও আছে,
শুধুই আমাদের মধুর স্মৃতিতে,অঢেল প্রত্যাশায়, প্রচন্ড আক্ষেপে।
____________________
রচনা'কাল ১০ অক্টোবর সকাল ১০.১৫
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে প্রকাশিত
সংশোধিত ও পরিমার্জিত
© Copyright সংরক্ষিত ®