ঈদ এসে চলে যায় ...
শিশুদের উল্লাসের আতশবাজি ফাটানোর বারুদ মেশানো ছেঁড়া কাগজের ঠোসা পড়ে থাকে পাড়ায় পাড়ায়।

ঘুমহীন করোটিগুলোকে আশাতুর চাহনি নিয়ে
আবার গঞ্জের দোকানে গিয়ে ভীড় করতে দেখা যায়!
যেন দুর্যোগের ঘনঘটা বেশ কেটেছে,
এবার নতুন করে প্রস্তুতি জীবনের কাছে।
যে খুকি কেঁদে কেঁদে বুক ভাসালো
নতুন জামার আশায় আশায়,
তার কাছেও কী ঈদ এসেছিল?
সে কী নতুন জামা না পাওয়ার শোক ভুলেছিল?

মজিদের খেঁজুরের রসে মাজেদার গুড় হয়ে
ভরেনি তো পায়েসের থালা!
কে বুঝে কার জ্বালা?
ঈদ এসে চলে যায় ...
এইসব দুঃখ সইতে না পেরে
এখনো অঝোরে সুমনার বাপের কান্নার চিৎকারে
বৈশাখেই নামে শ্রাবণের বৃষ্টি মুষল ধারায়!

ঈদ এসে চলে যায় ...
মহাজনের কাছে ঋণের বোঝা বাড়ে!
কইছিল স্বাস্থ্যকর্মী হাসিনা আপায়,
রইসউদ্দিন, এবার তো রক্ষা দিবি সখিনার মা'য়রে?
আর কত বাচ্চা আনিস বছরে বছরে,
এভাবেই ঋণের বোঝা বাড়ে!
ঈদ এসে চলে যায় ...
অভাবের ভারে ন্যুব্জ ঘরে
ঈদের চাঁদের শোভা পৌঁছায় না জীবনে!
যেমন পৌঁছায় না,
স্বাস্থ্যকর্মী হাসিনা আপার কথা রইসউদ্দিনের কানে।

ঈদ এসে চলে যায় ...
সুকান্তের কবিতার বইয়ের ছাপানো অক্ষর
আরও দুঃখ ভারী করে তুলে!
এইসব দেখে কাজীদা কথা বলে ওঠে নীরবতা ভুলে!
...পদ্ধতির পরিবর্তন চাই। না হয় ঈদ এসো না!
যদিও এমন কথা আমি ছাড়া কেউ শুনি না।
ঈদ এসে চলে যায় ...
আমাকে অপরাধ বোধ দিয়ে
সারা বছরের জন্য, যায়...।

০৬-০৫-২০২২ খ্রিস্টাব্দ