মহাপ্রান; যতই গাওনা তুমি মহাকালের শ্রোতাহীন গান
গৃহত্যাগী গৌতম বহু আগেই চাঁদের পাহাড় হেটে বেড়িয়েছে!
তারচে বরং তুমি একগাল জল দিয়ে কুলকুচি করে ফেলো তোমার আদিম কষ্ট।
অথবা রেগে গিয়ে তুমি ঝলসে দাও আমার একগুচ্ছ হেমন্ত!
একদা আমারো সুন্দর হাসি ছিলো, কিন্ত কষ্টগুলো সে ঠোঁটে উবেছিলো পারদের মত
তোমাদের বিভৎস লাগামহীন শীৎকার ভেবে থমকে থাকা এক অদ্ভুত জীবন!
হেমন্ত এলেই স্বভাব বশত তা ফুলে উঠে, ঘা থেকে বের হয় পচে যাওয়া বীর্যের গন্ধ।
তখনি আমার ইচ্ছা হয় ইশ্বর হবার, কেননা
আমি জানি ইশ্বরই কেবল তার কষ্ট ছড়িয়ে দিতে পারে
প্রেমিকের ভেতর, এই শহরের ইটের ভেতর
গৃহত্যাগী জ্যোৎস্নার ভেতর আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার ভেতর।
আমি ভুলতে চাই সমস্ত কষ্ট, বিনিময়ে আমি ভূলতে রাজী সমস্ত কবিতা, সমস্ত গান কিংবা সমস্ত আমিকেও
তবেইতো আমি হাসতে পারবো ইশ্বরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে,
কোনো এক শীতের রাতে কুয়াশার আড়ালে মুখ লুকিয়ে আমি প্রচন্ড কাঁদবো,
চক্ষুসমুদ্রের নোনা জলের চেয়ে ভালো এন্টিসেপটিক কীইবা হতে পারে?