পৃথিবীতে যুদ্ধ চলে সভ্যতার নামে।
কলমের কালিতে সত্য লুকানো হয়,
মুছে যায় যুদ্ধের ক্ষত রক্ত ছোপ।
আগুন লেগেছে তাই শত সভ্যতায়,
কবিতার খাতাও পুড়ে হয়েছে ছাই।
সভ্যতার কোলাহলে ঢাকা পড়ে গেছে
অজস্র বিপন্ন মানুষদের কান্না।
তাদের আর্তনাদ কি শুনতে পাও?
তোমাদের সভ্যতার রং বড়োই কালো,
যুদ্ধের ধোঁয়ায় ঢেকে আছে আকাশ।
রক্তে আঁকা মানবতার বেদনা গাঁথা,
ভগ্ন হৃদয়, ছাই হয়ে যাওয়া স্বপ্ন।
অগণিত মানুষের কান্না
রক্তে লিখা ইতিহাস।
কোলাহলে ঢাকা পড়ে মানবতার সুর।
আমি সাদামাটা মানুষ বাঁচতে চাই,
তোমাদের ভালোবাসার হাত ধরেই
স্বপ্নের পৃথিবীর পথে হাঁটতে চাই।
ওখানে ওই যে যুবকটি শুয়ে আছে
নদীর পাড়ে হীজল গাছের ছায়ায়।
স্রোতস্বিনী নদী পাশে গুনগুন করে,
যেন মা স্নেহের হাত বোলাতে থাকে।
সভ্যতার কান্না থেকে আড়াল করে তাকে।
সূর্যোদয়ে এসে সন্ধ্যায় সে ঘরে ফিরে,
যেন নতুন জীবনের অঙ্গীকার নিয়ে।
পাখির ডাক আর সবুজে ভরা মাঠ,
ফসলের গন্ধে ভরা কিন্তু সে শান্ত।
সভ্যতার অস্থিরতা তাই দূরে থাকে।
এখানে প্রকৃতির ঐশ্বর্য অমলিন,
যার প্রতিটি শ্বাস শান্তির গান গায়।
তোমাদের সভ্যতার কুৎসিত রং তাই,
এখনো লাগেনি সেই কৃষাণের গাঁয়।
এখানে দুপুরের রোদে মৃদু বাতাসে,
শঙ্খচিল ফিরে আসে সহজ অভ্যাসে।
এই নদীতে বয়ে চলে শুদ্ধ অমিয় স্রোত।
পাখি গান গায়– প্রকৃতি গন্ধ ছড়ায়।
প্রতিবার ছুটে আসি এখানেই,
অনুভব করি প্রকৃতির অবহিত মন।
ফিরে আসি নদীতটে মাঠে– ক্ষেতে,
ফিরে আসি ভালোবাসার তৃপ্তিতে।