আমি নারী বলে বার বার নগ্ন হই,
পরিবারে, কর্মস্থলে সর্বত্রই নগ্ন আমি।
আটেই নগ্ন হয়েছি নিজ পরিবারে,
শিক্ষকের হাতে, আঠারোতে এসে যানবাহনেও নগ্ন হয়েছি কতবার।
অভ্যাসের বয়স নেই, রক্ষকও ভক্ষক,
নগ্ন আমাকে হতেই হয় লজ্জা ঢেকে।
জন্মের পর বিনা পয়সায় খাদ্য খেয়েছি,
আমারও আছে সেই খাদ্য ভাণ্ডার।
তোমার কাছে তা উপভোগের জায়গা,
নগ্নরা সেটাই কেন ছিড়ে খেতে চায়?
সমাজ সভ্যতায় পচন ধরেছে লজ্জা,
এই সমাজ আমাকে ছিঁড়ে খেতে চায়।
বিধি, এ অঙ্গ গুলো কেন দিলে আমায়?
আজ আটাশে এসেও মুক্তি নেই তাই,
কর্মস্থলেও আমি নগ্ন হই, সবাই ফুর্তি চায়।
আমার লজ্জা ছিনিয়ে নিয়ে, অসহায় পেয়ে,
নগ্নরা আমাকে মেরেছিলো এক ঢিলে।
কতবার জায়গা বদলেছি, শেষে ধর্মাশ্রমে,
সেখানেও ফুর্তি চায়, ডাকে নিজ কামরায়।
এই দেহের মুক্তি মেলে না, সেকি আমি নারী বলে?
মেয়ে মানুষ এতই সস্তা, সবাই পণ্য বলে!
ঘেরাটোপেও মুক্তি মেলেনা যে সভ্যতা থেকে,
এই নগ্ন সভ্যতায় কেন জন্ম দিলে?
বিধি, আমার বড্ড জানতে ইচ্ছে করে,
তুমিই বল তবে মুক্তি দেবে কাকে?