হে মানুষ! নিরব কেন - সময় যে এসেছে ভাবার,
মৃত্যুর ধ্বংস যজ্ঞে বসেও বিবেক কেন নিষ্ঠুর-নির্দয়?
কহিল সে চোখে চোখ রাখি,
"মৃত্যুর মিছিল শেষ হতে কতটুকু বাকি?
লক-ডাউন খুলেছে কি? খুলেছে কি রাস্তাঘাট?
জনসমাগমের ভিড়ে ভরেছে কি দোকানপাট? "
"এখনো দেখনি তুমি?" কহিলাম "কেন মানুষ আাজ
এমন নিরীহ তুমি? কোথা তোমার বীরত্বের রণসাজ!"
কহিল সে একটু ভাবিয়া
"বিবেকের দ্বারে নিজেকে সপিয়া
ত্রাণ সামগ্রী পৌছেছে কি? হয়েছে কি সুষম বণ্টন?
ভরেছে কি পেট তাদের? ভরে নাই, হয়নি তত্ত্বাবধান।"
কহিলাম "ওগো মানুষ, এতো নিষ্ঠুর কেন তুমি,
ভালো হবে নাকো সে স্বভাব, রয়ে যাবে চিরদিনি।"
কহিল সে একটু হেসে
"একটুখানি, দরবেশের বেশে
আমারে দিলে ভাড় এ কাজের, নাহি হতো কোনো ত্রুটি,
পারেনি সে, পারবেনা কভু, রয়ে যাবে শত বিচ্যুতি।"
কহিলাম "ওগো মানুষ, অভিমান করেছ কি আমার কথায়?
যদিও এসেছে সুযোগ, নষ্ট তারে করেছ হেলায়।"
কহিল সে পরম মায়ায়
"অভিমান কেন? এমন সময়
বিবেক কি আসেনি তাদের? হয়নি কি এখনো সাবধান?
দিবে নাকো কভু তাদের অধিকার?হবে নাকো কি এসবের সমাধান?"
"হোক, তবু সম্পদের প্রতি কেন এই তব তীব্র আকাঙ্ক্ষা? "
কহিলাম "সদা গরীবের প্রতি কেন এতো নিষ্ঠুরতা?"
কহিল সে কাছাকাছি বসি
"তুমি আমি এক-ই গীতি রচি,
যে যা-ই বলুক, বলে যাক আমাদের তরে,
যে কাজে নেমেছি, সফল হবো-ই, ফেরাতে পাবেনা কোনো স্বর-ই।"
(বিঃ দ্রঃ কবিতাটি, কবি সুফিয়া কামালের লেখা 'তাহাকেই পড়ে মনে' কবিতা অবলম্বনে করোনা সঙ্কটে ত্রাণচোরদের নিয়ে রচিত)