ঝিরিঝিরি বৃষ্টি মিটিমিটি রোদ
বাদল দিনের এক অপুর্ব সুখ।
মাঝে মাঝেই রৌদ্র হঠাৎ বৃষ্টি
স্রষ্টার এ কেমন অভিনব সৃষ্টি!
হঠাৎ কেমন সূর্যি মামার
প্রখর রোদে মন অতিষ্ঠ সবার।
হঠাৎ আবার মেঘের কোলে
গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ তোলে।
মা বলছেন, আয় রে খোকা
না এলে ধান জলে ভাসা।
ভীষণ কণ্ঠে হাঁক শুনে মা'র
দিলাম দৌড় বাহির আঙ্গিনায়।
গিয়েই দেখি বড্ড ব্যস্ত সবাই
করছে কি? জানার নেইকো সময়।
বলছি মাগো, কেমনে হলো?
এখুনি তো রৌদ্র ছিলো!
মা বললেন, বলছি খোকা
বৃষ্টি হতে ধান টা বাঁচা।
পাশেই ধানের ঢিবি ছিলো
কেউ একজন চটি দিলো।
তড়িঘড়ি করি চটি হাতে
ধানের ঢিবি দিলাম ঢেকে।
মনে হয় যেন বাঁচলাম বাবা
হাফ ছেড়ে গা দিলাম ঝাঁকা।
পাশেই দেখি শুকনো খড়ে
ঝিরিঝিরি সেই বৃষ্টি পড়ে।
দিলাম দৌড় খড়ের দিকে
খড়গুলো সব নিলাম এঁটে।
পাঞ্জা করি খড়ের বোঝা
দিলাম খড়ের পালা ই সোজা।
বললাম মাগো, সব তো হলো
এবার কি করবো বলো?
মা বললেন, হয়েছে খোকা
কর্ গিয়ে তুই ইচ্ছে যা-তা।
মা'য়ের কথায় বসলাম এসে
অশান্ত সব ব্যাস্ততা কেটে।
এভাবেই রোদ-বৃষ্টির দিনে
কেউই যেন নেইকো থেমে।
সবাই ব্যাস্ত আপন কাজে
খুজছে শান্তি ধরণী মাঝে।