চেয়েছিলাম বাঁচতে আপন গতিতে
ছুড়ে ফেলে যা কিছু বাঁধার সারিতে
এবারো বুঝি রূদ্ধ হবে পথটা চলার
হবেনা বুঝি মুখ পেরিয়ে সত্যটা বলার।
অবুঝ ভানে বিজ্ঞ যতো আপনজনে
স্বার্থ হিতে অমূল্য বাণী কে বা শোনে?
স্বার্থ! বাবা, সে তো ভীষণ বড় ফাঁদ
তার-ই তরে কতো জ্ঞানী হয়েছে মরা লাশ!
শ্বাশত বাণী যতো ভরে রাখো কোনো থলেতে
অসহায় যারা কুড়িয়ে নিয়ে যাবে কোনো প্রভাতে
তুমি অসহায়, গতিহীন, জানো না কি হে নির্বোধ!
সবলের কাছে চলে কি কখনো কোনো অনুরোধ?
সে তো সবল! থলে ভরা তার অনেক যুক্তি
নীতি-কথা বলে কভু কেউ কি পেয়েছে মুক্তি?
রয়েছে তরে তার সমাজের কতো নীতিজ্ঞান
সেগুলো বিনে কি তোমার বাণী অতি মূল্যবান!
সত্য! সে তো ভীষণ কঠিন, বলতে যেয়ো না বাবা!
সহিতে পরিবে কি বিপরীতে সবোলের সজোরে থাবা?
হোক না সে বাণী যতো ধর্মীয় কিংবা জাগতিক
বুঝিলেও অজ্ঞ যেনো সেই সাধু কিংবা ধার্মিক!
বুঝে ও বোঝে না যে, কী করে বুঝাবো আমি তারে?
চঞ্চল আমি, তবু ব্যর্থতা যেনো পিছু নাহি ছাড়ে।