মধুর লগনে, এ যেন বিচ্ছেদের এক ভীষণ যন্ত্রণা,
যখনি বাজিলো, পূর্ণোদ্দমে সেই সুখের বাজনা।
মনের ভিতরে বয়ে চলা এক বিদীর্ণ জলরাশি,
বলতে গিয়ে ও যেন, বলা হলো না, সেই অপূর্ণ গীতি।
বুকের ভেতরে, এক সাগর আশা নিয়ে, আমি চলি,
মনে হয়, এই বুঝি বলে দেব, সময়ের সাথে, সব খুলি
বলা নাহি হলো, চলি আমি, সেই অঝোর বেদনা লইয়া,
দিবা-নিশি যেন কাটে আমার, সেই বিরহ্ গীতি গাহিয়া।
দেখেছিলাম যেদিন, প্রথম লগ্নে, বেঁধেছিলাম ওগো ঘর,
তোমার রূপেতে মুগ্ধ হইয়া, আশায় করেছিলাম ভর।
নাহি হলো সেই আশার নীড় টা, অতিশয় শান্তিময়,
প্রলয়ঙ্কারী ঝড়ের ঝাপটায়, স্বপ্নটা হলো লয়।
ভঙ্গুর সব স্বপ্ন গুলো আমি, সঞ্চিত করি মনে,
এই বুঝি তুমি ফিরে এলে ওগো, করুণ বিরহ টানে।
সে কি! তুমি তো দেখছি বড্ড জেদি, সবই ছিলো অজানা,
গোঁ ভাঙ্গানোর সকল প্রণালী, নেই তো আমার জানা!
সেই অহংবোধের চরণ তলে, সপিয়া আপন শির,
কাছের জনকে পর করিয়া, ভাবিলে নিজেকে বীর।
এখনো যেন সেই খোয়ানো সুরের, ভেসে আসে পদধ্বনি,
মনে হয় জানি, সব ভুলে আবার, কেটে যাবে যতো গ্লানি।