মুখে বালিশ ছেপে শ্বাসরুদ্ধ
করে হত্যা করেছি যগতের সমস্ত -
ভাল্লাগেনা-
বালতি পানি পুরে থৈথৈ অবস্থা অসময় বৃষ্টি হঠাৎ
শুরুর আগে স্বঘোষিত অস্মাপ্ত প্রেম আজ ইচ্ছে নদী
যে পকেট ভরতি নোট ছিলো সেখানে আজ একলা জমাট হেডফোন জটিলতা
স্বপ্নের শরীরে ত্রিঘাত, শূণ্য এ দিক ডান হাত বাম হাত
সেই থেকে জ্বলছে হৃদ জ্বলুক।

চেয়ে দেখ ঐ প্রেম নগরে বেহিসাবি পরিবর্তন
এখানে এসে গেছে শ্রাবণ, বৃষ্টির জল
মাঝখানে পথ একা ভিষণ খালি বুক
পূর্ণতার রাশি বৃশ্চিক, আজ কাল কোন শুভ সংকেত নেই
বাবুইয়ের দিন শেষ তাল গাছে নতুন
বাসা চড়ুইয়ের।

এক কবিকে বলা হলো কোনটা চাই তোমার?
কবিতা নাহ আমি?
ভালোবাসা নাকি কবিতা?
কবি নিরুত্তর দাঁড়িয়ে শার্টের কলার ঠিক করে।
বলা হলো দুঃখ বেদনার কবিতা চলবেনা
বস্তাপঁচা কবিতার চাইতে ডালে লবন ছাড়া খাওয়া ভালো
অভাব আসলে কবিত্ব পুড়ুত করে উড়াল দিবে
কবি নিরুত্তর দাঁড়িয়ে শার্টের কলার ঠিক করে।

জেনেছি মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে পাথরের আঘাতে
শুধু তুমিই এক বুঝোনি, দেখোনি খোলশে লুকানো বিস্তর ব্যাথা ।

তোমাকে বলেছি যদি যেতে চাও
যাও
তুমি আগামী সুখের বাহানা দিয়ে
আমাকে বিক্রি করে দিয়েছো শূন্যতার কাছে
এখন আমার একলা কাটে বোহেমিয়ান
বিকেল
জীবন কবিতায় নেই ছন্দের অন্তমিল এখন ভিতরে বিষের প্রেম, নিকোটিন
রক্তে সমুখে আছে একটান অন্ধকার...
এইতো জীবন !

তোমাকে বলেছি যাও ঘুমন্ত স্বপ্নে
বলেছি খুলে দাও খোপার চুল
জোছনায় এসো খালি পায়ে
আমার বিলাসি স্বপ্ন পুরোটা দেখার আগে জেগে উঠি
হাত বাড়াই তুমি নেই, কই? কোথায় তুমি?

এখানে কিছু জল জমা জমুক
নদী ভরতি মাছ চাষ হবে হোক
তাহার সাথে একটা দিন কাটবে কবে?
ধুত্তোরি ! ঠিক নেই নাইবা কাটুক।
ওদিকে কিছু রাত ঘুমে বেসামাল
জুয়ার টেবিলে সুখ নেই মদের বোতল দেখো, দেখো তাল বেতাল।
জলের সাথে মাছের প্রেম
কেমন যাচ্ছে দিন?
দেখেই শুধালেম।

সব কটা বন্দ দরজা খুলে দাও
শ্যাওলা ধরা মনে আগুন আগুন
দেওয়ালের ওপাশে খোচা মুখওয়ালা যুবক দাঁড়িয়ে
পেছনের রাস্তায় বিবিধ পথ আর বিস্তারিত অন্ধকার
সেখানে কিছু পুরোনো স্মৃতির বিস্তৃত আবাস
নিয়মিত গিলে খায় সুখ আর তামাম পৃথিবী।