কিছু লিখেছিলাম
এলোমেলো শব্দ জালে
যা মনে এসেছিল ক্ষণকালে
তাই লিখেছিলাম।
পড়ে হাসি
চোখ ভেঁজে জলে
ভালোই তো বলা চলে
গল্প খানি।
থাক ডায়েরীতে
দেখাবো না কাউকে
আমিই পড়বো থেকে থেকে
দিনে রাতে।
লেখার মর্যাদা
আমিই দিতে পারি
অন্যরা হেসে খাবে গড়াগড়ি
পাবো ব্যাথা।
গল্প কবিতা
যা মনে পড়ে
সব কিছু ডায়েরীতে ধরে
আহা! আহা!
কিছুকাল পরে
ভাগ্নে এসে বলে
মেলার দিন যায় চলে
দিন ঘুরে।
কথা দাও
বই কিনে দেবে
বই মেলায় নিয়ে যাবে
তুমি আমায়।
হেসে খুন,
বলি, বই কিনবি?
গল্প না কবিতা? সবি?
কি প্রয়োজন!!
ভাগ্নে বলে
পড়বো যে তাই
না কিনলে পাবো কোথাই?
গভীর জলে??
হুম হুম
বেশ বলেছিস তবে
তোর থেকে শিখতে হবে
হুম হুম
বলো বলো
কি শিখতে চাও
প্রশ্ন করে দেখে নাও
কি হলো?
বলে দে,
মেলার সব বই
ভাল কি বলা যায়
কিছু বাদে।
তবে কেন
সবাই বই ছাপায়
অখাদ্য! পড়া কি যায়?
গর্দভ যেন!
শোন মামা
বলি কি আমি
মাতৃগর্ভে বেশ ছিলে তুমি
আমিও মামা।
তবে কেন
পৃথিবীতে পাঠালো সবাইকে
সবাই কি ভাল সবার চোখে?
জন্মালো কেন??
বড় হলেই
বুদ্ধি বাড়ে না
ছোটদেরও বুদ্ধি ছাড়ে না
বুঝলাম আজিকেই।
প্রকাশেই যদি
বোঝা যায় সবি
ডায়েরী নয়, দোকানেও পাবি
আমার সৃষ্টি।
তাই নাকি?
তুমিও গল্প লেখ
দেখাও নি তো কখনো
তুমি কি-ই??
দেখাবো দেখাবো
সামনের বই মেলায়
ডায়েরী থেকে বইয়ের পাতায়
ঠাঁয় দেবো।
বুঝেছি আমি
প্রকশই সৃষ্টির মূল্য
হোক ভালো হোক অমূল্য
সৃষ্টি দামি।