আমি মারা গেলে হয়তো কারো কিছু যায় আসে না
হয়তোবা শুধু অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাবে;
আমি যে পথে প্রতি প্রত্যুষে হেঁটেছিলাম
সেই পথের ধূলা আর পাশের গাছগুলো
যাদের সাথে আমি গল্প করেছিলাম।
সেই পথের উপর ভেসে বেড়ানো বাতাস গুলো
যাতে আমি শুকনো পাতা ভাসিয়ে দিয়েছিলাম।
পার্কের বেঞ্চে শুয়ে থাকা টোকাই আর পতিতাগুলো
যাদের ক্লান্ত চোখের পানে মায়ায় তাকিয়ে ছিলাম।

তারা ছাড়া হয়তো কেউই আমায় মনে রাখবে না
আমার জন্যে কারো চোখই জলে ভিঁজবে না
অপেক্ষায় একটা প্রহরও কেউ কাঁটাবে না।
তোমরা কি ভেবেছ আমি তোমাদের পানে তাকাই নি?
সাত রঙ্গা আলোয় ভেসেছিলে বলে আমায় দেখো নি।
তোমরা কি ভেবেছ তোমাদের জন্য কাঁদি নি?
উষ্ণ রসে ডুবে ছিলে বলে চোখের জল দেখো নি।
তোমরা কি ভেবেছ তোমাদের ভালবাসি নি?
ভালবেসে ছিলাম কিন্তু তোমরা তা বোঝ নি।

বুঝবে কি করে ! হৃদয় রক্তাক্ত করে হয়েছ খুনি
আর, ভালবাসার অভাবে ‘অপেক্ষা’র হয়েছে কোরবানি।
যেখানে ভালবাসা আছে সেখানেই অপেক্ষার বাস
অপেক্ষার একটু বিরক্ত ভাবও সুপ্ত মধুরতার প্রকাশ।
সেখানে তোমাদের জন্য আমার আছে শুধুই দীর্ঘশ্বাস!!