আগে ভাবতাম বিশ্বাস বুঝি কোন মিঠেফল
ফললেই স্বাদে জিভে এসে যাবে জল,
কিন্তু আজ আমি জানি, বিশ্বাস বিষ ফল
কোয়ায় কোয়ায় আছে নীল বিষাক্ত গরল।
আহ ! কত বিশ্বাস করে তার ধরেছিলাম হাত
বিশ্বাসকে গ্রাস করেছিল তখন অন্ধকার রাত,
অতি ধিরে চুপিসারে চোখ ঢাকলো আবার তার হাত
কানে কানে বললো, একটু পরেই আকাশে উঠবে চাঁদ।
অন্ধকারের বুকে ঝলমলিয়ে হাসবে জ্যোৎস্না-রাত
সামনেই দিগন্ত ছড়িয়ে আছে সমূদ্র সৈকত,
আজ সমূদ্র বীলাস করবো হাতে রেখে হাত
তোমার পৌরুষত্ব আমার অহংকারে করবে আঘাত।
অধরে অধর মিলিয়ে গরম শ্বাস-প্রশ্বাসে পুড়বো
তোমার শক্ত বাহুর মাঝে আজ নিষ্পেষিত হবো,
হে প্রিয়, তোমার ঘামের গন্ধে অস্তিত্ব খুঁজবো
অবশেষে সমূদ্রের ঠান্ডা বাতাসে দেহ জুড়াবো।
একটু সময় নয়, যেন এক যুগ পরে
চোখের উপর থেকে হাত সরে গেল ধিরে,
কত বিশ্বাস নিয়ে চোখ মেলেই তাকালাম সদূরে
অতি কাছেই দৃষ্টি বাঁধা পেল অন্ধকারে।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে আকাশের পেলাম না দেখা
একটু পাশে হাতরালাম সবই শূন্য খাঁ খাঁ,
প্রিয়ে মোর সৈকতে হয়তো দাঁড়িয়ে একা
প্রবোধ বানী যে এটা জোর করে বিশ্বাসে আঁকা।
আর কিছু না ভেবে অন্ধকারে পা বাড়ালাম সম্মুখ পানে
সৈকত নয়, মোহ নয়, কি এক বিশ্বাসের টানে,
হয়তো প্রিয়ে মোর জল ভরা চোখে দাঁড়িয়ে সামনে
চুপিসারে বিশ্বাস বলে গেল তাই কানে কানে।
দুই হাত সামনে বাড়িয়ে সময়কে থামিয়ে হাঁটছি আমি
বিশ্বাসের বুকে চিড় ধরছে, বিশ্বাসই বলছে কোথায় তুমি?
যেন হাজার যুগ পরে আলোকে বুকে জড়ালো ভূমি
সূর্য্য হেসে বললো ডেকে এই মরুভূমিতে কেন তুমি?
যত দূর চোখ যায় দেখলাম কোথাও নেই আমার বিশ্বাসের বিশ্বাস
সশব্দে বুক চিড়ে নেমে আসলো হাহাকার ময় এক দীর্ঘশ্বাস,
বিশ্বাসে বিশ্বাস ক্ষয় হলো প্রত্যুষেই দেখলাম এক নির্মম পরিহাস
বাকি বিশ্বাসটুকুর বুকে পা রেখে আজ জন্ম দিলাম অনন্ত উচ্ছাস।