নদী তুমি ভেঙ্গেছ কূল গড়েছ শাখা
তোমাতে তোমাতেই বৈষম্যতা
আবার তোমার মাঝেই দেখি আকুলতা।

নারী তুমি বিলিয়েছ প্রেম ভেঙ্গেছ ঘর
তোমাতে তোমাতেই হয়েছ আপন-পর
আবার তোমার মাঝেই দেখেছি খড়গের ধার।

নদী-নারী ছুটে চলেছে আপন স্বভাবে
কেউ তাকিয়ে দেখে না সময়ের অভাবে
'নদী-নারী অবিচ্ছেদ্য অংগ; বৃক্ষ ভাবে।

তপ্ত রোদে বৃক্ষ দাঁড়িয়ে একা দেয় ছায়া
মানুষ নেয় শ্বাস জুড়ায় ঘর্মাক্ত কায়া
তবুও বৃক্ষের উপরে মানুষের নেই মায়া।

নদী-নারী-বৃক্ষ দিয়ে যায় নিজের মত করে
তুমি শুধু নিয়ে যাও দুই হাত ভরে
বলো হে, তুমি কি বিলাও তাদের তরে?



বি.দ্র : এই আসরের'ই আমাদের একজন অতি প্রিয় কবি বন্ধু শ্রাবণী সিংহ'র 'বিদ্রোহিনী' কবিতা পড়ে আমার এই কবিতার অভিপ্রায়।