সেই ৭ বছর বয়সে টুকিটাকি লেখালেখি শুরু করি । সেই হতে এই পর্যন্ত কেউ আমাকে অনুপ্রেরনা দেয়নি । সবাই দিয়েছে ধীক্কার । এমন কী আমার দারিদ্র পিতামাতা ও ছিল আমার বিপক্ষে । দরিদ্রতা আর অসহায়ত্বের মধ্যে আমার লেখালেখি অনেকবার থমকে গিয়েছে । তবুও আমার আশার তরী অগাধ স্বপ্ন নিয়ে পাল বেয়েই চলছে অবিরাম । আমি মাঝে মাঝে নিরাশ হতাম । কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাকে লেখালেখির জীবন থেকে অকাল অবসান দেননি । এ যাবৎ ২০০ এর বেশি কবিতা লিখেছি । কিন্তু দরিদ্রতা আর অসহায়ত্বের কারনে সব হারিয়ে গেছে । আর সব কবিতা হারিয়ে গেছে বলে ১০০ টি হারানো কবিতা সংগ্রহ করে বইটির নাম দিয়েছি “হারানো কবিতা” । যেটি এখন ও পান্ডুলিপী হিসেবে পড়ে রয়েছে ।
আমার জীবনে হারিয়ে গেছে অনেক কবিতা,
লেখাগুলো যেন সব হয়ে গেল সব বৃথা ।
কত রাত জেগে,কত প্রহর গুনে লিখেছি আমি,
কিন্তু হায় সব কেড়ে নিয়ে গেলে তুমি ।
দরিদ্রতা,অসচেতনতা আর অসহায়াত্বের ফল,
আর কত দিব বল?
যাহোক আমি এখনও দুটি ব্লগে লিখে যাচ্ছি । আমার লেখাগুলো ভালো কিনা সে ব্যাপরে আমি বোধগম্য নই । এছাড়া আমি “ঠাট্টা” নামে একটি নাটক ও “মরন অমরন” নামে একটি উপন্যাস লিখেছি । “মরন অমরন” উপন্যাসের পান্ডুলিপী নিয়ে ২০১২ সালে আমি বাংলাবাজার গেছালাম । বাংলাবাজারের এমন কোনো প্রকাশনি নেই য়েখানে এ অভাগা যায়নি । তারা সবাই আমার উপন্যাস ছাপানোর উপযোগী বলেছেন । কিন্তু টাকা ছাড়া আমার উপন্যাস ছাপতে কেউ রাজি হননি । যাহোক সেখানে উজ্জীবন প্রকাশনির এক আন্টির সাথে আমার কথা হয় । উনি আমাকে ছেলের মত করেই দেখেছিলেন । উনি আমার লেখার ও বেশ প্রশংসা করলেন । আমার বই ছাপানোর জন্য উনি আমার কাছে সামান্য টাকা চেয়েছিলেন । কিন্তু আমি এতই অভাগা যে আমি তাকে সেই কম টাকা ও দিতে পারেনি । উনি আমাকে বলেছিলেন বাবা তোমার কন্ঠ রবী ঠাকুরের মত । তোমার লেখা ও তার মত । আমি তাকে বলেছিলাম-
আমি নহে রবী ঠাকুর,নহে হুমায়ুন,নহেতো আমি কাজী,
আমি যে আর কেউ নয়,আমিতো এমডি নিজাম গাজী ।
হতে পারি আধার,হতে পারি হীন,
তাই রবী ঠাকুর বলে আমার অস্তিত্ব কেন করবেন বিলীন?
হতে পারি ছোট,হতে পারে আমার সবকিছু ম্লান,
তাই রবী ঠাকুর বলে আমায়ে কেনো করবেন অপমান?
আন্টি আমার কথা শুনে অবাক হয়ে যায় । যাহোক আমি সেই পান্ডুলিপী নিয়ে অনেক কষ্টে বাসায় চলে আসি । তারপর বই ছাপানোর জন্য কত জনার ধরনা ধরলাম কিন্তু কোনো কাজ হলনা । অবশেষে সাক্ষাত হয় শ্রদ্ধেয় মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের সাথে । স্যার আমাকে বলেছেন ঠীক তোমার বয়সেই আমার প্রথম বই প্রকাশিত হয় । তুমি লেখা চালিয়ে যাও,একদিন তোমার বই ও প্রকাশিত হবে । তিনিই আমাকে ব্লগে লেখার পরামর্শ দেন । আর আমি দীর্ঘ তিন মাস এই ব্লগেই লিখে যাচ্ছি অনেক কষ্ট করে । কিন্তু কোনো সুফল মেলেনি । কোনো প্রকাশক স্যারের আমার এই লেখাটি দৃষ্টিপাত হলে আমাকে হেল্প করে কীনা,তা আমি জানিনা । তবে আমি ভালো সংবাদের অপেক্ষায় রইলাম ।
সকলকে জানানোর জন্য নিন্মে আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হল-
আমি ১৯৯৩ সালের ১৫ই মার্চ বাগেরহাট জেলার মোরেলগন্জ উপজেলার সোনাখালি গ্রামের এক গাজী পরিবারে জন্মগ্রহন করি । আমি এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ২য় বর্ষে অধ্যায়ররত । আমি পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে চার নাম্বারে । গত ২৬ আগষ্ট ২০১৪ ইং তারিখে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় আমার প্রথম কলাম প্রকাশিত হয় । এছাড়া ইতিমধ্যে বিভিন্য পত্র-পত্রিকায় আমার বেশ,কটি কবিতা ও কলাম প্রকাশিত হয়েছে । জানিনা আমার লেখা পান্ডুলিপীগুলো কী জীবনে বই হিসেবে রুপান্তরিত হবেনা । সকলের মঙ্গল ও উত্তরত্তোর সাফল্য কামনা করি । আল্লাহ হাফেজ ।