শ্রদ্ধেয় এডমিন স্যারসহ শতরূপের ভালবাসার বিচারক মন্ডলীসহ সকল গুণী ও শ্রদ্ধেয় কবিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । শতরূপে ভালবাসা সত্যিই অপরিমেয় ও অগাধ ভালবাসার সম্মিলীত প্রয়াস । এই বইয়ের নামকরনের স্বার্থকতা আমার মত অধমের বিচার করা সম্ভব নয় ।
আমার ছিল অনেক আশা,
শতকবির শতকবিতা নিয়ে হবে “শতরূপে ভালবাসা” ।
শতরূপে ভালবাসার ১০০ টি(শতটি) কবিতার মধ্যে দেখলাম একজন কবির একাধিক কবিতা স্থান পেয়েছে । অথচ কোন কোন কবির একটিও কবিতা স্থান পায়নি । আর এটি আমাকে দারুণভাবে কষ্ট দিয়েছে । শত কবির শতটি কবিতার সমন্বয়ে শতরূপে ভালবাসা বইটি নির্মান করলে,বইটির নামকরণের স্বার্থকতা যথোপযুক্ত হত বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস । যাহোক বিচারক স্যারদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত । একজন কবির একাধিক কবিতা নয়,বরং একটি কবিতা স্থান করে দিয়ে, নতুনদের একটি কবিতা স্থান করে দিলে অনেক ভালো হত । তাহলে নতুনরা আরো উজ্জ্বিবিত হয়ে সামনে আরও ভালো লিখতো বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস । একজন গুনী কবির একাধিক কবিতা স্থান দেওয়া আর নতুন অবহেলিত কবির একটি কবিতা স্থান না করে দেওয়া হল—
তেলে মাথায় তেল দেওয়া আর খালি মাথা থেকে তেল চুষে নেওয়া ।
কেবলমাত্র একজন কবির একটাই কবিতা শতরূপে ভালবাসায় স্থান পাবে এমন নিয়ম থাকলে অনেক ভাল হত । নতুনরা এগিয়ে যেত । মনে রাখবেন শুধু ভালো কবিতা দিয়ে একটি প্রানবন্ত বই হয়না, বরং ভালো ও নিম্নমানের কবিতার সমন্বয়ে একটি প্রানবন্ত ও পূর্নাঙ্গ বই হয় । তাই শতরূপে ভালবাসা বইটিতে কতিপয় নিম্নমানের কবিতার স্থান দিলে অনেক ভালো হত । এই লেখাটা অনেক কষ্ট নিয়ে লিখলাম । কেমন যেন বুকে পর্বতসম আঘাত হানতেছে । এখন বিবেচনার সময় আছে কিনা তা আমার বোধগম্য নয় । যদি এখন বিবেচনা করার সুযোগ থাকে, তাহলে প্রত্যেক বিচারক স্যারদের প্রতি পূন্য বিবেচনার অনুরোধ রইল । উক্ত বাংলা কবি ও কবিতার ওয়েবসাইটের আমি একজন সদস্য,তাই এক্ষেত্রে মতামত দেওয়া ও আপিল করার অধিকার আমার আছে । আমার আপিল,মতামত বা রিভিউটি বিচারকমন্ডলীদের কাছে যেন গৃহীত হয় সেই অনুরোধ রইল । তবে আমার আপিলের কারনে যদি কোন কিছু বাধাগ্রস্থ হয় তাহলে উক্ত আপিলটি আমি প্রত্যাখান করব । কারন আমি কোন কাজে বাধা সৃষ্টি করকত চাইনা । কোন প্রকার ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন । সৃষ্টিকর্তা সকলের মঙ্গল করুক । শতরূপে ভালবাসা যেন চিরকাল পৃথিবীর বুকে টিকে থেকে সত্যিকার ভালবাসাকে টিকিয়ে রাখে- এই প্রত্যাশা করি । আল্লাহাফেজ । বাই বাই ।