কোনো এক রাজ্যের রাজার মাংস খাওয়ার পর,
হঠাৎ করে বমি বমি ভাব হলো তার।
রাজা সুধালেন কে আছো তোমরা দূর করো মোর এই অশ্বস্তি,
যদি কেউ না পারো তবে দিবো তোমাদের কঠোর শাস্তি।।

সকলে রাজার আদেশ শুনিয়া ছোটাছুটি করে,
সন্ধানে চলে গেলো বাহিরে।
কেউ কেউ নিয়ে আসলো বিভিন্ন অহেতুক সামগ্রী,
অবশেষে এক বৃদ্ধা নিয়ে আসলো সুপারি।।

মহারাজ হুংকার দিয়ে ফেলে দিলেন সুপারি সহ সকল সামগ্রী,
মেঝেতে সব গড়াগড়ি করে ফেটে গেলো বৃদ্ধার সুপারি।
বৃদ্ধা আলতো আলতো কন্ঠে বললো দেখুন মহাশয় সুপারিটা কি সুন্দর,
মহাশয় আমি একবার খেয়ে বুজেছি এর কদর।।

মহারাজ সুধালেন দাও হে বুড়ি মুখে দিয়ে একটু দেখি,
কসকস লাগে তবু মুখে আরো কিছুক্ষন রাখি।
কসের মধ্যে সুপারির আছে যে অনেক রস,
মহারাজ তো বুজে ফেললেন সুপারির কি যশ।।

শুধু সুপারি চিবুতে অনেকটাই বিস্বাদময়,
মহারাজ সুধালেন সুপারির সাথে আর কি কিছু হয়?
রাজ প্রসাদ থেকে সবাই নেমে গেলো আবার মাঠে,
কেউ খোঁজে এই ঘাটে,কেউ খোঁজে ঐ ঘাটে।।

কেউ পেলো ঘাসপাতা,কেউ পেলো কাশপাতা,
সকলের খোঁজাখোজি বোধহয় হচ্ছে বৃথা।
অবশেষে এক ভৃত্য নিয়ে এলো পানপাতা,
মহারাজ মুখে দিয়ে বললেন এতো লাগে অনেক ঝাল।
বিজ্ঞানী তখন শুরু করলেন গবেষনার তাল।।

চালাক গোপাল বললো ভাতে লাগে নুন,
তাইতো মহাশয় পানে লাগবে চুন।
পাথরের তৈরি চুন পানে দিয়ে খেলেন রাজা,
মুখ তার পুড়ে গেলো,পেলেন অনেক সাজা।।

অবশেষে গোপাল ক্ষমা চেয়ে ঝিনুকের তৈরি চুন এনে দিলো,
বাহ! এবার মহারাজ পান,সুপারি,চুন খেয়ে অনেক মজা পেলো।
একটু নেশার জন্য গোপাল তাতে মিশিয়ে দিলো তামাক পাতা,
মহারাজের বমি আসলে এখন সে খায় পান পাতা।।
জর্দ্দা সেতো বিশ্বায়নের আবিষ্কার,
তাই তার গবেষনা করলাম পরিহার।।

সেইদিন হতে রাজা-রানী সবাই খায় পান,
পান খেয়ে সবাই ধরে শুধু গান।
স্বয়ং রাজা যখন খায় পান,
তাই রাজ্যের সকলে পান খেয়ে বজায় রাখে তাদের মান।
রাজাসহ সকলে পেলো পানের উপকার,
সেইদিন হতে এভাবেই হলো পান আবিষ্কার।।


//২৫/০২/২০১৮
৪.১৮(বিকাল)
নিজ বাসগৃহ
মোরেলগঞ্জ,বাগেরহাট।।

বিঃদ্রঃ- এটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তবে কিভাবে পান আবিষ্কার হয়েছে তা আমার অজানা।।