তখন আমার ছোটবোন দোয়েল পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী,
আমি খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে তার বিদ্যালয়ে হলাম যাত্রী।
শ্রেনীকক্ষে হলো অনেক রসালাপ,হলো অনেক কথা,
সকল শিশুদের দেখে মুছে গেলো মোর হৃদয়ের সকল ব্যাথা।।
বই ছাড়া ওদের পড়ানো শুরু করে দিলাম,
পাশাপাশি ওদের অনেক শিক্ষামূলক কথা বললাম।
ওদের বললাম চাইনা শিক্ষা,চাই আমি সুশিক্ষা।
সুশিক্ষার জন্য ওদের আমি করলাম এক পরীক্ষা।।
এক ছাত্রকে বললাম কোনোদিন যদি তুমি হও বিচারক-
আর আমি যদি হই খুনের আসামী!
তাহলে আমায় কী শাস্তি দিবে তুমি?
ফোঁকলা দাতে বললো স্যার আমি আপনাকে ছেড়ে দিবো।
হেসে দিয়ে বললাম তোমার বিচার আমি মেনে নিবো।।
দুইতিনজন শিক্ষার্থী আমাকে মুক্তির দিলো আশ্বাস,
আমি অধম ওদের করলাম বিশ্বাস।
আরেকটি ছাত্রী বললো স্যার আমি আপনার শাস্তি কমিয়ে দেবো।
ধন্যবাদ,আমি তোমার রায় মেনে নেবো।।
এবার ছোটবোন দোয়েলকে বললাম আপু তুমি আমায় কি শাস্তি দিবে?
চালাক আপু বললো আমার রায় কি তুমি মেনে নিবে??
তুমি বিচারক,আমি আসামী,
কেনো মানবো না তোমার রায় আমি?
আপু কঠোর হয়ে বললো দাদা তোমায় আমি দেবো ফাঁসি,
শ্রেনীকক্ষের সকল শিক্ষার্থী দিলো এক মস্তবড় হাঁসি।
বেয়াদব আপন বোন হয়ে ভাইকে দিবে তুমি ফাঁসি!
তুমিতো আমার বোন নয়,তুমিতো এক সর্বনাশী!!
আপু সুধালো দাদা বিচারের ক্ষেত্রে কোনো ভাই-বোন নাই,
আইনানুযায়ী যে শাস্তি হয়,আমি তোমাকে দেবো তাই।
একটু কস্ট হলেও পেলাম অনেক আনন্দ।
আপুকে বললাম এবার তোমার বানী করো বন্ধ।।
মাঝে মাঝে গর্ব করে ভাবি কোন আদর্শবান বোনের ভাই আমি,
আমার ছোটবোনকে অনেক বড় করিও হে জগতস্বামী।
দুনিয়ার সকল বিচারকের নিকট চাই আমি ভিক্ষা,
এ ভূবনে যেনো প্রতিষ্ঠিত হয় আমার ছোটবোনের এমন শিক্ষা।।
বিঃদ্রঃ- উক্ত কবিতাটি বাস্তব ঘটনার উপর রচিত/নির্মিতব্য।
//সময়ঃ-৯.৫৫(রাত)
২২/১০/২০১৭ ইং
সাভার,ঢাকা।।