সুপ্রিয়াসু, কিসের এতো দুঃখ তোমার!
এখনো বসত করি তোমার রূষ্ট উল্কার বিনাশী পৃথিবীতে
তোমার নিঃশ্বাসের দাবানলে পড়ন্ত বিকেল পুড়ে ছারখার
সময়ের বিরহ চাকায় পিষে মৃত্যু ঘটে বারংবার
মিশে আছি তোমার বেহুশ নিদ্রা বিলাসী হেমন্তের প্রভাতে!
ভেসে বেড়াই এ পাশে ও পাশে করুণ দুঃস্বপ্নের তীক্ষ্ণ স্রোতে।
তবু মিলে মিশে তুমি আমি বেঁচে আছি এ ধরায় একসাথে
শুধু উপলব্ধি করো একটিবার!
এক অবলোহিত বিকিরণ এক প্রান্ত পাড়ে
দিগন্ত ছুঁয়ে এসে তোমার আর আমার শরীরে পড়ে
এক সমুদ্রের তরল জল
বঙ্গোপ প্রশান্ত আটলান্টিক কিংবা সিংহল
ছুঁয়ে দেয় ইউরোপ আমেরিকা এশিয়া কিংবা আফ্রিকা
ভিজে যাও তুমি ভিজি আমি যতদূর থাকি একা।
সুপ্রিয়াসু, কেন তোমার এতটা কষ্ট!
আমি না হয় এখন শুধু সাতটি বর্ষ দূরেই আছি, তাতে কি?
অনন্ত বর্ষ আমাদের দূরেই থাকতে হবে বৈকি!
এ গ্রহে কীটপতঙ্গ ফড়িং পাখি-
ভালোবেসে কেউ কাউকে কোনদিন কী দিয়েছে ফাঁকি!
এক ছায়াপথে তারার আলো হয় কি কখনও পথভ্রষ্ট?
প্রিয়জন কী একটু দূরে থাকতে পারে না!
অথচ কোনো একদিন তুমি আমি ছিলেম পাশাপাশি!
একটু অভিমান করে তুমি না হয় এখন কিছুটা দূরে
পৃথিবীতে সব খাবার পচে যায় তবু মধু হয় কি কখনো বাসী?
খুব কাছে অথবা খানিকটা দূরে অথবা বহূ দূরে
এগুলো আপন বা পর হয়ে যাওয়ার মতো কোন কারণ না!