সব প্রাপ্তির পরেও যদি
হঠাৎ কোনো বিনিদ্র নির্জন নিশিতে-
মেঘের আবরণে
জ্যোৎস্নার সৌন্দর্য ফিকে হয়ে আসে,
অগণিত নক্ষত্রের মাঝেও যদি
ঘোর নিষ্প্রভ নেমে আসে কখনো,
নির্জন দুপুরে ঘুঘুর ডাক
তিক্ত হয়ে ফিরে আসে কর্ণ কুহরে,
কারো সঙ্গী হয়ে একটা রূপালী বিকেলে
সমুদ্রের সুউচ্চ তরঙ্গ দেখে যদি তোমার বুকের
ভিতর আর একটি মহাসমুদ্রের তোলপাড় শুরু হয়,
সকলের ভীড়েও যদি
একাকিত্বের নিঃসঙ্গতা অনুভব হয়:
বহুকাল পূর্বে রাগে অভিমানে ঘৃণায়
অবহেলায় বেখেয়ালে ফেলে যাওয়া,
কালের পরিক্রমায় শীর্ণ হওয়া
জরা স্মৃতির স্বদেশটা চিনে নিও!
হয়ত হেমন্তের নবান্ন উৎসব নেই সেখানে,
তবু কালের নিয়মে বসন্ত আসে, নিয়ম করে ফুল ফুটে।
অনন্তকাল বসন্ত আসবে, অনন্তকাল ফুল ফুটবে।
অজান্তেই যদি কখনো অক্ষি নীরে ভিজে যায়-
পূর্ণিমা চাঁদের ম্লানি অবয়ব,
জনম ধরে যে শূন্যতায় ধুকে ধুকে
নিঃশেষ হয়েছে যামিনীর আকাশ,
মাঝ পথে যত যা হয়েছে ক্ষতি ও ক্ষত,
পূর্ণ হয়তো হবেনা সম্পূর্ণ কিছু,
তবু অন্ততঃ
ভুলে যেতে এইসব,
মহাশূণ্যতায় নিক্ষেপ করা-
আঘাতপ্রাপ্ত পৃথিবীটা একবার খুঁজে নিও!