তাঁকে ভালবাসি ঢের...
এবং ভালবেসেছে আমাকেও সে!
এক মহাকাব‍্য আলাপচারিতা হয়েছে আমাদের!
কেটেছে অনেকটা সময় আঙিনার পাশে পথে মাঠে ঘাসে,
দেখা হয়েছে খালের ঢেউয়ের সাথে মৃদু বাতাসের,
ঠিক মনে আছে সব কথা কাঠ গোলাপের এক ফাগুন মাসের!
পাখিদের নতুন প্রেম হয়েছে এক পুরনো নীড়ে,
মনের বেখেয়ালে যেতে যেতে
হেটেছি দুজন আঁকাবাঁকা এক দীর্ঘ কাঁচা পথে,
হেটেছি এক ঝাঁক কবুতরের ব‍্যস্ত ভীড়ে।
শুনেছি বসন্তের বাগানে ঝিঁঝিঁ পোকার গান,
খোসা ঝরা তরু পেয়েছে ফিরে নতুন পাতায় প্রাণ,
হঠাৎ চারদিকে নিরবতা; পশ্চিম আকাশে আবির রঙে-
শুকনো পাতার শব্দে আমাদের মৌনতা ভাঙে!

এভাবে নিষ্পাপ সবুজ গ্রামে
কেটে যায় আমাদের বহু দিন প্রণয় ও সময়ের ফ্রেমে!

একদিন খালের পাড়ে অতঃপর এক বিষণ্ন সন্ধ‍্যা নেমে এলে-
একটি মুচড়ে যাওয়া চিরকুট দিয়েছি তাঁর হাতে তুলে।
জীবনে প্রথম তাঁর সুনিবিড় নীড়ে এই আমাদের শেষ দেখা!!
আজও নিরব মনে অনুশোচনায় রয়ে গেছে সেইসব কথা!
ঘর থেকে ধীরে নেমে এসে তাঁকে দিয়ে এসেছি কত বড় ব‍্যথা!
অনেক দেখেছি তারপর দিগন্তে; নীলের পরিবর্তে ধূসর রেখা!

জীবন ঘড়ির নিমেষ কাঁটায় বয়ে চলে করুণ সব দুর্দিন!
কেটে গেছে বহু বছর, চলে গেছে বিশ্বাস নিঃশ্বাসের বহুদিন!
ফিরে আসেনি তবু আর কোনদিন...
ফিরে আসেনি আর এক পলক তাঁকে দেখার সুদিন!!

৫ চৈত্র, ১৪২২
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।