নিভে আসে পৃথিবীর আলো; ঘনিয়ে আসে গোধূলির মায়া,
রাতের বিষাদ রঙে মোড়া চেনা সব বৃক্ষের বিষণ্ণ ছায়া।
অদূরে এক পাখি একা, ঠোঁটে তার ম্লান সুরের বর্ণচ্ছটা—
মনে হয় সে জানে আমার শেষ পথের শেষের গল্পটা।
যেখানে কুয়াশা নরম নরম আঁধার ছুঁয়ে
নিঃসঙ্গ আকাশ থেকে ঝরায় তার ম্লান আলো,
শেষ একবার অনুভব করি সেইখানে নীরব দাঁড়িয়ে—
পৃথিবীর সবুজ স্পর্শ আর ক্ষীণ অনিলে দিগন্তের হিম কালো!
নীরবতা ঘিরে ফেলে, ঝরা পাতার স্মৃতি নিয়ে—
ঝরে পড়ে শেষ ক’টি রক্তিম কুসুম,
তবু কোথায় যেন কিছু আলো কিছু ছায়া যায় মিলিয়ে,
দেখে যায় শেষবার—অন্তিমের চোখে বিদায়ের ঝিম ঝিম ঘুম!
পেছনে পড়ে থাকে ধুলোমাখা দিনের সব কথা,
কালের চিহ্নগুলো আঁকা সুদীর্ঘ মেঠো পথের শিয়রে;
একদিন এ পথেই চলে যাবে সব—কালের সাথেই সব সখ্যতা।
আমি ফিরবো না আর, শেষ দৃষ্টি স্থির;—রেখেছি অন্তরে!
পৃথিবী, তুমি থেকো—দীর্ঘশ্বাস হয়ে মহাশূন্যে ভেসে,
আমি মিশে যাই নির্জন রাতে—সঙ্গী শুধু প্রাণের নিস্তব্ধ ভাষা,
অন্তিমে দাঁড়িয়ে শেষ আলোয় যাই যদি মিশে—
তোমার বুকের উপর রেখে যাই আমার সমস্ত ভালোবাসা!