হৃদ মাজারে বাজার গড়ে
সওদা ব্যাচো তুমি,
কাউকে করো তোমার পোষক,
কাউকে মরুভূমি।
এক আকাশে উড়ছো যে আজ,
কালকে খোঁজো অন্য,
কয় পুরুষে ভাবো তোমায়
হতে হবে ধন্য?
কয় গাছেতে চাক গড়েছো,
ভ্রমর পেলে কতো?
এমন করে কয়জনারে
ভাবছো তোমার মতো?
কয়জনারে মিষ্ট কথায়
করছো পাগারপার?
এতোদিনে বুঝে গেছি-
ফন্দি চমৎকার!
দিনের বেলা ধরছো যে হাত
করছো বদল রাতে,
নিজের আখের গোছাও তুমি,
সাধ মেটেনা তাতে?
এক সাজেতে সকাল কাটাও,
দুপুরে বদল ঢঙ,
বিকেল-রাতে ভাবো বুঝি
সবাই তোমার সঙ।
পকেট ভারী থাকলে বুঝি
দাও গো তারে দাম?
ফতুর করে দিলে তুমি
যাও ভুলে তার নাম!
নবাবজাদী ভাব যে তোমার,
পারলে মারো তেল,
মানুষ বুঝে পটিয়ে তারে
ভাংগো মাথায় বেল।
কখন কী যে করো তুমি,
কথারও নাই ঠিক,
কয়জনারে সময় দিতে
ছুটছো দিগ্বিদিক!
দেখছি আমি, আর কতোটা
নিচে তুমি নামো।
ঢের হয়েছে ছলনাময়ী
এবার একটু থামো।
তওবাখানা নাওতো করে,
হওতো এবার ভালো,
আর কতো কাল উপরে সেজে
ভিতরে রবে কালো?
বিধাতাও দেখছে, জানো,
মানুষ তোমার মতন,
একটা কথা মনে রেখো,
পাপেতে হয় পতন।
যে পাপেতে মজে আছো
হাজার ছলের টানে,
তওবা করেও লাভ হবে কি?
আল্লাহ্ তায়ালাই জানে!