কি অপরূপ তুই!
কারণে আর অকারণে
ইচ্ছে করে প্রতিক্ষণে
সাজানো তোর অঙ্গখানি
অসংখ্যবার ছুঁই।
ডাগর কালো চোখ দুখানি
নিত্য ঘটায় ধৈর্যহানী,
তোকেই আমার শিয়র মানি
তোর অধরে মাথা রেখে
অনন্ত কাল শুই।
রেশম নরম চুলের ‘পরে
যেনো চাঁদের জ্যোৎস্না ঝরে,
সেই জ্যোৎস্নায় মনটা ভরে,
রেশমি চুলে সুবাস ছড়ায়
শিউলি, বেলি, জুঁই।
সোনার বরণ অঙ্গটাকে
রঙ বাহারি বসন ঢাকে,
আপ্লুত মোর দেহটাকে
সেই বসনে উষ্ণ হতে
তোর মাঝেতে থুই।
হাত দুখানায় কাঁচের চুড়ি
বাজিয়ে যখন বেড়াস ঘুরি,
ইচ্ছে করে যাই যে উড়ি
প্রেমের পাখায় বেঁধে তোরে
ছেড়ে বসত ভুঁই।
আলতা রাঙা দুটি পায়ে
বেড়াস ছুটে সারা গাঁয়ে
কোমর দোলাস কোমল বায়ে,
শিমূল তলায় দাঁড়িয়ে আমি
লজ্জা শরম ধুই।
কি অপরূপ তুই!
আমার সকল চিন্তা জুড়ে
সদাই যে তুই বেড়াস ঘুরে,
হৃদয় কাড়িস বুকটা ফুঁড়ে
তোর মোহেতে বেহুঁশ আমি
বুঝি না কিছুই।
কি অপরূপ তুই!
কারণে আর অকারণে
ইচ্ছে করে প্রতিক্ষণে
লজ্জাবতীর অঙ্গখানি
অসংখ্যবার ছুঁই।