পরকালের অন্তিম সুখের আশায় যে দুঃখেতে যায় ভাসি
আপন ইচ্ছায় দুঃখে কাঁদে, শোকে ভোলে হাসি
দুর্ভাগা সে, আজন্ম কাঁদে, হাসতে নাই জানে।
এ জগতের হাজারো দুঃখে কাঁদতে যে চায় সকল সময়,
ভাবে- ইহকালের দুঃখে হবে পরকাল শুধু সুখময়
নির্বোধ সে নিজ ললাটে নিজেই আঘাত হাতে।
এ জগতে প্রাপ্ত অসীম দুঃখে যদি পাবে পরলোকের সুখ
তবে কেনো সুখ ঘোচাবে তোমার এমন দুঃখ?
মস্তিষ্কে যে জ্ঞান ধরেছো ভ্রান্ত যে সেই জ্ঞান।
সুখ দুঃখ সবই খোদার সৃষ্টি যা মেলে তোমারই কর্মফলে,
নরকবাসের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দুঃখ পাবার ছলে!
ইহকালে দুঃখ ভোগেও হয় না পাপের পরিত্রাণ।
যে ধারণা অন্তরে করেছো ধারণ ছুঁড়ে ফেলো তারে আজি
দুঃখের পাহাড় চূর্ণ করতে লাগাও সৎ কর্মের বাজি,
পুণ্য প্রাপ্তিতে যে সুখ আসে সে সুখের নাই শেষ।
ইহকালে যারা সর্বদা দুঃখই পেলো শুধু তারাই স্বর্গে রবে?
জগতের পাপ-পুণ্যের হিসেবে স্বর্গ-নরক প্রাপ্তি হবে।
যেমন কর্ম তেমনই পাবে শেষ বিচারের আদেশ।