ধন-সম্পদ যাকে ভোগবিলাসী করে, শেখায় উগ্র আস্ফালন,
সে ধনীর কোষাগারে থাকে না ধন-সম্পদ সুরক্ষিত আজীবন।
বেহিসেবী যে মানুষ ওড়ায় অর্থ-সম্পদ, রসনাও লাগামহীন,
আহরিত ধন বিপথে খুইয়ে তাকে করতেই হয় অবিরাম ঋণ।
মূর্খের মতো নানান খেয়ালে যে ধনী হরহামেশা ওড়ায় টাকা,
তারই জীবন নিশ্চিত পড়ে যায় দুঃখ, অশান্তির চাদরে ঢাকা।
সম্পদের মালিক হবার পরে যে করে না তার সচেতন ধারণ,
তার ধন-সম্পদ ধ্বংস যে হবেই আর সে নিজেই তার কারণ।
ধনসম্পদ আহরণের পথ যে অনেক, আয়ের উৎসও ভিন্ন ভিন্ন;
ধন ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিধিবদ্ধ নিয়ম না মানলে ধনই হয় নিশ্চিহ্ন।
প্রয়োজন মেটাতে যে অর্থ-প্রাচুর্য সঞ্চয় তার বিলাসী অপব্যয়
সৌভাগ্যের কপাটে তালা লাগালোর মতো নির্বুদ্ধিতা, অন্যায়।
দারিদ্র ও দুর্ভাগ্য দেখায় না দুঃসাহস রুখে দাঁড়াতে তার পথে
করছে যে জন সম্পদ অর্জন শ্রম-মেধা-মননে সচেতন হিম্মতে।