পাষন্ড হৃদয়ে পাথর চেপে আত্মঘাতি ফরমান,
শত সহস্র কোটি স্বপ্ন আশা নিমিষেই বলীদান।
মাতা-পিতা ভাই বোন স্ত্রী সন্তান আর বন্ধু স্বজন,
মমতায় গড়া মায়ার বাঁধন যত করি আস্ফালন।
ভূ-মাটিতে বাঁধিয়া হৃদয় স্বপ্ন ডানায় ভেসে,
নিয়তির ডাকে সাড়া দিয়ে পাড়ি দেয় প্রবাসে।
মন-প্রাণ যৌবন, শখ-সম্মান করিয়া বিসর্জন,
স্বপ্ন বুনে সুখে থাক দেশ জাতি পরিবার পরিজন।
আনন্দ বেদনা সুস্থতা অসুস্থ নাই কোন ব্যবধান,
শত শোক বুকে নিয়ে কর্মস্থলে করে যোগদান।
প্রিয়ার শূন্যতা বুকে বিষব্যাথা ঠুকে মৃত্য যন্ত্রণার,
পিতার স্নেহহীন আকাশসম ঋণ হয় শুধু লাঞ্ছনার।
বেপরোয়া মালিকের অন্যায় আদেশ শতভীতি সঞ্চয়,
এভাবে তিলে তিলে সোনার জীবন করে ফেলে ক্ষয়।
তার তরে কাহারো কভু হয় নাকো শেষ আবদার,
যত পায় তত চায় নিত্যনতুন চাহিদা পাতে বারবার।
বুঝেনা কেউ তাদের দুঃখ দুর্দশা অভাব-অনটন,
নিজের স্বপ্ন জবেহ করে পূর্ণ করে সকলের মন।
বেলা শেষে পাখিও খুঁজে পায় এক শান্তির নীড়,
কর্ম ক্লান্তি শেষে প্রবাসী খুঁজে পায় বন্দী পিঞ্জির।
কেউ বুঝেনা তার কষ্ট-আবেগ আর বিরহ-ব্যথা,
হৃদয় কোণে গুমড়ে গুমড়ে মরে কত নাবলা কথা।
যাদের ত্যাগ আর রক্ত-ঘামে নির্মিত প্রাসাদ-প্রাচীর,
স্বদেশে আসে পরগাছার মতো মজলুম-মুসাফির।
"সুখের আশায় সুখ ছেড়েছে সঙ্গী আঁখি জল,
বিন্দু সুখের ঘূর্ণিপাকে সিন্দু হলো রসাতল"
উৎসর্গ :প্রিয় কবি বন্ধু ফয়েজুল্লাহ রবি সহ-
সকল প্রবাসী ভাই বোনকে।