এখানে একদিন আমার লাশ,
বয়ে নিয়ে যাবে আমার পরিচিতের কাঁধ,
যে মাঠে বর্ষায় বজ্রপাতের নীচে চুপচাপ
দাঁড়িয়ে কাকভেজা হয়েছি,
সেখানে তখন নতুন কিশোর তাকিয়ে দেখবে অনন্ত মহাকাশ ।

যে গাছ সাক্ষী রেখে আমি ভালোবেসেছিলাম ,
বাকলে এখন তার নতুন ক্ষত, প্রেম চিহ্ন ‌।
কিশোরীর দেহে ঋতু,
বয়ঃসন্ধির ঢেউ পেরোনোর নির্লিপ্ত প্রচেষ্টায় ,
সূর্যমুখীর রং মেখে হয়তো সে  ঘুমিয়ে পড়েছে ,
নব্য কিশোরের কাঁধে ।

তার মন কি কখনো স্পর্শের আঁচড় অনুভব ‌করেনি।
বিশ্বাসের পালে হাওয়া লাগিয়ে,
একবারো কি তার ইচ্ছে করেনি ওষ্ঠ্যে চুম্বনের ।
প্রেমিকের হাতে হাত রেখে শহরের অলিগলি চষে বেরিয়ে আসতে,
জনজোয়ারের ভিতরে  হাঁটু মুড়ে বসা তার প্রেমিকের থেকে একগুচ্ছ গোলাপ পেতে ।

হয়তো সে সাহসে পারেনি, বেকারত্বের নিঃসংশয় ভয়ে, ভবিষ্যৎ এর নজরে নজরে থেকে বর্তমানের মুহূর্তে উপভোগ্য করে তুলতে ।
আদতে আমরা অতীতের কবিতাই পড়তে বেশি ভালোবাসি,
কারন সেখানে ভাবনার সীমারেখা ছোটো ।।

চেনা কোনো গানে অথবা সূর্যের গেরুয়া ম্লান আলোতে একা বসে স্বপ্নে ভরে গেছে তাদের চোখ,
সেই চোখ এখন আমার, টাকার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে,
আমারো তোমার হাত ছোঁয়া হলো কই, কটা রাতেই বা তোমাকে শোনাতে পারলাম" বনলতা সেন " ।
জীবনের কটা কথাই বা বলা হলো তোমাকে,
সবশেষে বুঝলাম এই বোধ সময়ের নয়, সাহসের ই ,
যা আমরা কেউ সাঙ্গ করে চলতে পারিনি ।