আমাকে কেউ যখন প্রশ্ন করে আপনি কি করেন আমি উত্তরে বলি আমি একজন কবি । বেশিরভাগই অবাক হয়ে যায় বর্তমান সময়ে তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশে কবিতা লিখে জীবন যাপন । বিশ্বাস হয়না কারোর । তবুও এই মিথ্যে কথাটা বলে বেড়াতে হয় যে হারে কবি তৈরী হচ্ছে তাতে আলাদা করে কাউকে খুঁজে বের করা খুব কঠিন, তার উপর কবিতা প্রকাশের মাধ্যম পাল্টানোর সাথে সাথে কবিতার বই কিনে পড়ার প্রবনতা ভীষন মাত্রায় কমে গেছে, মানুষ এখন সব কিছুতেই বিনোদন খোঁজে । তাই কবিতা লেখার থেকে সিনেমা বানানোর দিকে মনটা ক্রমশ ঝুঁকে যাচ্ছে, কবিতার মত করে সিনেমা বানালে দর্শক কম থাকলেও বিদেশের বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে এর কদর আছে, কিন্তু তা দিয়েও কি জীবনযাপন করা যায় সেই ভয়টা আছে তবুও আব্বাস কিয়ারোসতামি কে আমি ভগবানের মত সম্মান করি এত বড় মানের একজন চিত্রপরিচালক হয়েও যে নিদ্বির্ধায় বলতে পারেআমি একজন কবি , বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত যে নিজেকে কবি বলেই পরিচিতি দিতেন , টারকোভস্কি, বেলা টার, এদের সিনেমা গুলোই এক একটি কবিতা । ক্রমশ আর্ট সিনেমার গতিপথ কবিতাকে ঘিরে বেড়ে উঠছে,তবে তার বেশিরভাগ আধুনিক কবিতা । আমায় এই বিষয়টি ভীষন ভাবে আকর্ষণ করে, দেশ বিদেশের সেই সব সিনেমা দেখে দেখে বুঝতে চাই একটা কবিতা কি করে একটা সিনেমা হয়ে ওঠে । তাহলে আজ যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহন করতেন তিনি কি একটা হলেও সিনেমা তৈরী করতেনা, হয়তো করতেন এই সব অদ্ভুত চিন্তায় মাথা ভরে আসে । আমরাই শিল্পকে আলাদা আলাদা নামে ডাকি কিন্তু সব শিল্পের উদ্দেশ্য এক অবং অভিন্ন, এই অভিন্নতা আমাদের বিশ্বাসের গঠনকে প্রভাবিত করে । সিনেমা আর কবিতার সম্পর্ককে শুধু কটা কবিতা থেকে কটা সিনেমা হলো তার অঙ্কে ফেললে হবেনা বিষয়টি আরো গভীর । তাহলে কি আগামীদিনে সবাইকি চিত্রপরিচালক হয়ে উঠবেন ? এই আশঙ্কাকে একদমই ছেড়ে দেওয়া যাচ্ছেনা কারন ভীষন গতিতে এখন কবিতার মত শর্টফিল্ম তৈরী হচ্ছে । আপনি যদি সবকিছুই পরিপূরকের দৃষ্টিভঙ্গিতে মাপেন তাহলে আশা থাকছেই সেইদিনের যেদিন একটা সিনেমা থেকে একটা কবিতা তৈরী হবে ।
আপনি কি মনে করেন কবিতা থেকে সবাই যদি শর্টফিল্ম
বানাতে শুরু করে তাতে মূলকবিতার ওপর কেমন প্রভাব
পরবে ?