শিউলির বনে শরৎ এসেছে
বলিতেছে কত কথা,
বঁধুয়ার সাথে বসিয়া গোপনে
কহিছে মরম ব্যাথা।
“গত শরৎতের দেওয়া কথা গুলি
কেন ভুলেছিলে এতদিন?
দেওলির শেষে সেই যে গিয়েছো
কোথা ছিলে পরাধীন?
একটি বছর ছিলাম একেলা
লয়ে কত ব্যাথা বুকে,
সুধাও আজিকে কোন দেশে ছিলে
কোন ললনার দুঃখে?”
একটি বছর আগে-
গেরুয়া-সাদায় সেজেছিনু আমি,
তুমি বলেছিলে-“ আঁহা,
দেহ সুবাশে মন মাতোয়ারা।”
মেনেছিলে তুমি তাহা।
ভেবেছিনু আমি সেই সেদিনে
তুমি রবে মোর সাথে
বহু না বলা কথা গুলি আমি
বলিব নিশুতি রাতে
তোমার পরষে দেহ পল্লবে
লাগিবে যে শিহরণ
ভরিয়া উঠিবে শাখা-পল্লবে,
মুকুলে যে অগনন।
দু-হাত ভরিয়া সোহাগ করিব,
চুমা দেব তব শীরে।
সবাই সুধিবে-“ সার্থক তুমি,
কুশুমিত হবে ধীরে।
তোমার আকুতির এই ফুলভার
দিয়ো তাঁর হাতে তুলি,
তোমার বঁধুয়া তোমার আঙ্গিনা
কভু নাহি রবে ভুলি।”
নিশি অবসানে তোমারি আঙ্গিনা সাদাহয়ে রবে ফুটি,
সখিরা শুধাবে- ‘শরৎ এসেছে!’
হেঁসে হবে লুটো-পুটি
বিশ্ব মাঝারে সবাকার ত্বরে
তাহাকে যে প্রয়োজন,
বর্ষাবসানে, সাজাতে সবারে
করিবে সে আগমন।
হিমেল হাওয়ায় ঘাসের আগায়,
শিশির এঁকেছে রেখা,
সবাই বলিবে ‘শরৎ-বন্ধুর ,
এইবার হবে দেখা’।
লেখক-নিশি কান্ত দাস
তাং-১৯-০৯-২০১৩
ফোন নং-৯৪৩৩৪৪২০৮২