চাইয়া দেখিনু শিরিষেরবনে সবুজের ঘনঘোর,
শিরিষ বলিছে-‘বন্ধু বসন্ত আসিতেছে গৃহে মোর,
দুইমাসকাল থাকিবে হেথায়,
বন্ধবী গৃহে কাটাবে নিশায়,
তাইতো মাধবী সাজিছে আজকে, লালরং নিয়ে হাতে,
সবুজ আঁচল দেবে সে পাতিয়া,লজ্বা নাইকো তাতে’।
মুক্ত আকাশ,স্নীগ্ধ বাতাশ,মৃদু সমীরের পড়েছেযে ডাক,
সরসীর জলে কমল কাননে,বসন্ত দিয়েছে মধুময় হাঁক,
ছল্ ছল্ জলে সরসী হাঁসিছে,
হিমেল হাওয়া বিদায় মাগিছে,
বসন্ত আজিকে সবাকার দ্বারে আগমণী গান গায়,
বধু ও বঁধুয়া একসাথে মিলি বধুর কবরী সাজায়।।
দশমাসকাল ছিলনা হেথায় গিয়েছিলো ভিন দেশে,
তথায় নারীর মনের বাসনা,জাগায়েছে ভালোবেসে।
পলাশের বনে লেগেছে আগুন,
মাধবীলতায় ছুঁয়েছে ফাগুন,
মন্দার বনে ফাগুনের ছোঁয়ায় ছুটিতেছে অলিকুল,
পাকুড়ের শাখে কোকিলা ডাকিছে কোকিল লাগিব্যাকুল।
বনবিথি মাঝে কিশোর-কিশোরী কপোত কপোতি সম
হাসে কল্ কল্ বসিএকাসনে যেন হয়ে প্রীয়া-প্রীয়তম।
সরসী সলিলে কমল কাননে,
মরাল-মরালী খেলিছে দুজনে,
কাঞ্চন ডালে কুঁড়ি সমারোহে বসন্ত বলিছে, “ শোন,
আমার পরসে ফুঁটেউঠ ত্বরা লজ্বা পেয়োনা কোন”।।
বসন্ত বাতাসে দিঘী কালোজলে উঠিতেছে ঢেউ কত,
যেন যৌবনা নারীর মেখলার মাঝারে উন্নত স্তন যুত।
আনন্দিত তার সারা তনু-মন
চক্ষু মাঝারে কালো-রঞ্জন
কাজরীকালো দিঘী কালোজলে বসন্ত করেছে স্পর্ষ,
মাধবীকুঞ্জে মিটি মিটি করি মাধবী করিছে হর্ষ।
লেখক-নিশিকান্ত দাস
তাং-১৯-০৯-২০১৩
ফোন-৯৪৩৩৪৪২০৮২