‘বলতেপারো গোলাপ কুঁড়ি ফুটবে তুমি কবে?’
‘শীতের শিশির লাগলে গায়ে,ফুটবো আমি তবে।
যদি তুমি আদরকরে দেবে খাবার, জল,
তা হলে আজ উঠবো ফুটে,মেলবে আমার দল’।
‘বলতে পারো বেলের কুঁড়ি,ফুটবে তুমি কবে?’
‘গ্রীষ্ম দিনে, দক্ষিণ বাতাস আসবে ধেয়ে যবে।
গ্রীষ্মেরেই প্রভাত-বাতাশ লাগলে আমার গায়,
গন্ধে তোমার মন ভোলাবো বসলে দোলনায়’।
‘বলোনাগো পলাশ-সখি ফুটবে তুমি কবে?
তোমার রঙে পাগোল হবো দেখবো তোমায় যবে’।
‘আমের কুশুম ধরবে যখন আমের পল্লব মাঝে,
তোমার সাথে মিলবো তখন সকাল-সন্ধা-সাঁঝে’।
‘সবুজলতা ও-মাধবী! ফুটতে তোমার হবে!
শুভ্রবসন অশ্রুনীরে ভিজাও কেন তবে?’
‘বসন্তরেরী বাতাসমেখে যাবো তোমার কাছে,
কথাদিলাম, আর কেঁদোনা,ব্যাথা মনের মাঝে’।
বাইরে বাদল বৃষ্টিঝরে শালুক কলি হাঁসে,
হাঁকদিয়ে কয়, ‘খুকুমণী এসো আমার পাশে।
মুখে তোমায় চুমুদেবো,দেবো হলুদ রেণু,
পদ্মদলের রঙটি ছানি সাজাবো ঐ তনূ।
তোমার মত ছোট্ট মোরা মোদের কতোই আশা,
ভাববো মোরা সবাই আপন,আপন হবে হাঁসা’।
লেখক-নিশি কান্ত দাস।
ফোন-৯৪৩৩৪৪২০৮২
তাং-১০-১১-২০১৬