পিতৃহারা একমাত্র পুত্রকে বিধবা-মাতা মধ্যরাতে সুধাইল আসি;        “দুপুরের আহার করেছোতো বাচা,হয় নাই তো খাবার বাসি?
আমি আজ বড়ক্লান্ত,বড়শ্রান্ত,আজ বড় ধকলের ভাগিদার,
ঘৃণা মোর জীবনের প্রতি, মরণের-দ্বার রুদ্ধ করেছে ‘মায়া-দ্বার’
যেথাযাই, যেখানেতে থাকি, তব হাসি মুখখানি কভুনাহি ভুলি,
জীবনের যত ক্লেদ লাগুক মোরপ্রতি, চরিত্র যাক জলাঞ্জলী,
তবু তুমি মোর ‘প্রাণ-প্রদীপ’,প্রদীপের শিখাসম ঊজ্বল থেকো অনিবার
আঁখিজল মুছে দেবো, তব আঁখিহতে,মোর বক্ষাঞ্চল লয়ে বারংবার।
বাচা! তুমি থাকিবে চীর-ভাস্বর, সমাজের আকাশে শুকতারা সম
আমি রব মাতাহয়ে তবকাছে, সমাজের চোখে হয়ে হীনতম।
আমি মৃত্যুর শান্তি-নীড়ে চীরতরে হবোসুখি, হয়ে রত্নগর্ভা-মাতা,
তুমি ভুলিওনা মোরে,কঙ্কাল সমাজের বুকে হয়ে দুঃখত্রাতা,                উশ্চিষ্ট কর্মহতে যা কিছুহয় উপার্জন, তা যদি সৎকাজে লাগে,
আমি লইব সেইকাজ সকলের ত্বরে, জন্ম যেনহয় তথা সবাকার আগে।
‘চরিত্রবান’ এতো ঠুনকো,মেকি কথা, এই সমাজের ধনীজন লাগি
তাই ধনীদের ত্বরে থাক চরিত্র, চরিত্রহীন হবো, হয়ে চীর-দুঃখের ভাগি,
কৃষকের-হলে ধরিত্রী-মাতার উন্মুক্ত বক্ষচিরি, পেয়েছে অর্থ মাতৃদুগ্ধ সম,
তাহাতেই সে আজ ধনী, আর সেই ধনেই সে হয়েছে যে পরনারী গম।
নস্বর দেহমোর, কর্মই হবে চীরস্থায়ী, মাতার মাতৃকর্ম লয়ে,
অবোধ শিশু হবে লালায়িত, মাতৃস্থন ধরি,নহে মাতৃ হীনকর্ম লয়ে,
হীন-কর্মে মাতৃ-দুগ্ধ হয় নাইতো হীন, তব জীবনের লাগি,
সেই খানে জল্লাদের নাহি স্থান, সেইখানে আমি হবো যে বিবাগী,
মাতৃ-স্নেহ কেবলি-কেবলি মাত্র তব ত্বরে থাকিবে যে নিষ্কলঙ্ক হয়ে,
নীষ্পাপ শিশুর লাগি, ‘জীবন-নাটকের’ নটিনী রবে বেঁচে, কর্মের ভাস্বর জয়ে’’।

লেখক-নিশিকান্ত দাস
তাং-১০.১০.২০১৪
ফোন নং-৯৪৩৩৪৪২০৮২