ভুলেছি আমরা স্বদেশের ত্বরে কতজন দিল প্রাণ
স্বদেশ মাতার ঋণশোধিবারে রুধির করেছে দান,
কত স্ত্রী নিল বিধবার বেশ, সধবার বেশছাড়ি
কফিনের মাঝে শেষ দেখাদিয়ে শ্মশানে দিয়েছেপাড়ি।
কত মাতা দিল শেষ চুমুখানি মাথারাখি শবাধারে,
শেষস্মৃতি টুকু রেখেছিনু মোরা শহিদবেদি অন্তরে,
কতনা বছর কেটেগেছে, আজ স্মৃতি হয়েগেছে বাসি,
শোধিতেপারেনি শহিদের ঋণ,পরাধীনতার ক্লেশনাশী।
ইট-বলি দিয়ে তৈরী বেদিরা অট্ট হাঁসিয়া কয়,
“দেশকে ভুলিয়া নেতা হয়েগেছ,লোভলয়ে মনময়,
কত বলেছিলে দেশ গড়িবারে,তনু-মন দেবে ঢালি,
অর্থ ও যশ কিছুচহিবেনা,কভু চহিবেনা হাত-তালি।
আর আজ!
পরিয়াছ রাজসাজ!
দশের-অর্থ শোষণকরিয়া হয়েছো বিত্তবান,
চিত্তে নাইকো করুনারলেশ,মনমাঝে শয়তান।
আজতুমি বড়নেতা,
শোষণ করিতে পরিয়াছো সাজ, যেন সকলের ত্রাতা।
প্রতিবাদীর মুখে কসাঘাত করি,স্বাধীনতা করেছো চুরি,
কুম্ভিরাশ্রুতে চোখ ভাসিয়েছো,ছলনার কারিগরি।
গীতার তত্ত্ব,বিবেকের বাণী, জনতাকে দিয়েছো ডালি,
নিজেকে রাখিলে আড়াল করিয়া, কুড়ালে শুধু হাত-তালি।
দেশদ্রোহি তুমি,মিথ্যুক তুমি,তুমি নর-শয়তান,
শোষিতের রক্তে গঠিত প্রাসাদ হইবে যে শতখান।
আসিতেছে সেইদিন-
অত্যাচারের রচিত সৌধ হইবে চিহ্নহীন।
শহিদরক্তে রঞ্জিত হবে,শোষনের হবে কাল,
আবার উঠিবে মুক্তি-সূর্য্য,গগন করিয়া লাল”।
লেখক-নিশিকান্ত দাস
তাং-৯-১০-২০১৫
ফোন নং-৯৪৩৩৪৪২০৮২