চড়ক পূজার গাজন বাদন,
দুলু মুচির ঢাক,
তাক্-কুড়াকুর মিষ্টি মধুর;
থাকগে পড়া থাক।
রুমা,হাঁদু,বিষ্টু,কুসুম
গাইছে গাজন গান,
বধুরা সব ডাবের জলে করান শিবের স্নান।
বাড়ী বাড়ী তুলসীতলা,উঠান,গোলা,থান-
ঘষা-মাজা,ধোয়া-মোছা চাঁদমুখো সব স্থান।
বৎসরান্তে চড়কপূজা বারোমাসের পর,
দাদা,দিদি মিলবো মোরা তাই এসেছে ঘর।
ছাতুমাখে, মা-দিদিমা,সাথে গুড় আর দুধ,
সন্ন্যােসীরা সিদ্ধি-গাঁজায় রয়েছে সব বুঁধ।
শিবের প্রসাদ গাঁজা-সিদ্ধি তাই বাধানাই খেতে,
ছেলে,বুড়ো,খোকা,খুকি সবাই গ্লাস পেতে।
পড়ারকথা কে বলে ভাই সবাই নেসায় বুঁধ;
এমনি পূজা রোজ যদি হয় থাকবে নাতো দুঃখ্,
পূজারদিনে পূজারমজা পড়া কিহয় ছাই,
রোজ তো পড়ায় কানমলাখাই আজতো কিছুই নাই।
তাইতো বলি রোজসকালে হোকনা গাজন মেলা
থাকবেনাতো লেখা-পড়া জমবে মজার খেলা।
মানতকরে গাজনতলায় দেবো খিরের ভোগ,
এবারথকে শিব-বাবাজীর এইপূজা রোজ হোক।
নাইবা খেলাম খিরের প্রসাদ,শিব-বাবাজিই খাক;
খিরের নেশা ছাড়বো আমি, পড়াশুনা যাক!
কী মজা ভাই বইপড়ানাই বুঝবে হলে ছাত্র,
আমার মত করবে মানত সন্ধা-দিবা-রাত্র।।
লেখক—নিশি কান্ত দাস।
তাং-২২ .০৩. ১৯৮০
ফোন নং-৯৪৩৩৪৪২০৮২