মিলন মেলার সাজে,     রথের মেলার মাঝে,
রুমি –হালিম গেছে সেথায় হরেক রকম কাজে।
কুলপি বরফ খাবে, দোলায় চড়া হবে,
হুড়ুম ভাজা, হাওয়া-মিঠাই সকল কিছু খাবে ।
মা দিয়েছে একটি আনা, আব্বা দিলো দু-টি আনা,
তিন আনাতে,খাওয়ার পরে, কিনবে পুতুল খানা।
আনারসের একটা ফালি, বৈঁচি ফলের আধেক ডালি,
দুই পয়সায় কিনবে তারা করছে বলা বলি।
কুলপি-বরফ হাতে নিয়ে, রুমি সুধায় ভাই,
‘কুলপি-বরফ ঠাণ্ডা বেজায়, তোর খেয়ে কাজ নাই,
বরফ খেলে কাশি হবে,   কষ্ট হবে রাতেরবেলা,
মেলায় আসা পণ্ড হবে কালকে সাঁঝের বেলা’।
‘কুলপি-বরফ নাইযদি দাও কিনলে কেন তবে?
বলছি আবার কুলপি-বরফ আধেক দিতে হবে।
কুলপি যদি নাদাও দিদি বলবো মায়ের সাথে,
কালকে মেলার পয়সা-কড়ি কেদেবে তোর হাথে’?
পাঁচক্লাসের রুমির মনে ভাসছে মায়ের কথা,
‘দু-জন মিলে খাবে সবিই, থাকবে নাতো ব্যথা’।
একটুখানি বরফ-কুচি দিল ভায়ের মুখের মাঝে,
ফুরিয়ে যাবে বরফ-বাটি, রুমির মনে বেদন বাজে।
‘দিচ্ছো তুমি একটু বরফ, খাচ্ছো তুমি অনেকখানি’
ছোট্টো হালিম ধরলো টানি দিদির কচি হাত দুখানি।
হটাৎ টানে বরফ-বাটি পড়লো গিয়ে পথের ধূলায়,
ওদের মনের ব্যথার কথা বুঝবে না কেউ রথের মেলায়।


লেখক---নিশিকান্ত দাস
তাং—২৩.০৫.২০১৭