অন্নহীন

বৈশাখের দুপুর বেলা একাকি বসিয়া সুখে,
কত কথা আসিতেছে মনে, যাহা ছিলো বুকে।
তখনি আসিল কানে রাখালের বংশীর সুর,
সে সুরের মাঝে আছে ক্ষুধিতের কান্না ও বিধুর;
ঊষার উষ্ণতার নরম আলোয় হাতে লয়ে বাঁশি,
গোঠে যাবে ধেনু লয়ে, ভুলি ক্ষুধা, লয়ে মুখে হাঁসি।
জঠরে অন্ন নাই, নাই প্রেম কোথা হতে কিছু,
অর্থ হয়েছে বৈরী, ছুটিতেছে ধনীদের পিছু।
অবোধ ধেনুর পাল চরে মাঠে,ক্ষুধিত রাখাল!
ধেনুদের পেট ভরে, রাখালের খাদ্যের অকাল।
যন্ত্রনা ভুলে যায়, যত বাজায় সে রাখালিয়া বাঁশি,
জঠর যাতনা রাখালের কাছে হয়ে গেছে বাসী।
অসাম্য বিষ-বাষ্পে রাখালের অন্ন তিরোহিত,  
বসুধা হোক মুক্ত রাখালের অন্ন যারা কাড়ে অবিরত।
বাঁশিটাকে অসি করি নামো আসি যত আছো রাখালের দল,
সাম্যেই হবে সমাধান,লক্ষ্য রেখা স্থির, বন্ধু!হয়ো না দূর্বল ।

লেখক-নিশিকান্ত দাস
তাং-০৬-০৮-২০১৭