ডাকছে আমার ছোট্ট গাঁ-টি, যেথায় আমার বাড়ি।
নাইকো সেথায় রিক্সা, অটো,চলে গড়ুর গাড়ি।
সকাল বেলা সূর্য্য ওঠে ,শীতল বাতাস বয়,
পরেরবারে ঐ গাঁয়েতই জনম যেন হয় ।।
সবুজঘেরা আমার গাঁ-টি, কালো দিঘীর জল,
সাঁঝেরবেলা চাঁদের আলোয়,জল করে ঝল-মল।
তুলসি,টগর,শিমুল,বকুল ফুলের বাসরঘর,
পদ্ম,শালুক,কলকে,কদম নয়কো কেহ পর।
এদেরমাঝে জীবনকাটে,খুশির হাওয়া বয়
পরেরবারে ঐ গাঁয়েতেই জনম যেন হয়।।
ছোট্ট নদী বিদ্যাধরী চলছে এঁকে-বেঁকে,
‘পানসি নিয়ে ওপার যাবো’ মাঝি সুধায় হেঁকে।
নূতন বধূর আলতা পায়ে, নাকে রূপোর নথ,
আলতাপরা খালিপায়ে, তাতেইচলে পথ।
সরলতার এইতো ছবি, কোথায় বলো হয়?
তাইতো ভাবি জনম যেন ঐ গাঁয়েতেই হয়।।
শরৎকালে শারদীয়া,শিউলি-কে দেয় ডাক,
চাঁপারবনে ডাকদিয়ে যায়,চড়ক পূজার ঢাক।
এইটি আমার গাঁয়ের ছবি,কোন গাঁয়েতে আছে ?
কোকিল,টিয়া,ময়না,শালিক,দোয়েল নাচে গাছে ?
সবাই থাকে কাজের মাঝে, নাইকো কোথাও ভয়।
তাইতো ভাবি ঐ গাঁয়েতেই জনম যেন হয়।।
কলসি কাঁকে গাঁয়ের বধু জলনিয়ে যায় ঘরে,
কলমি শাকের নধর-ডগা, লয়ে আঁচল ভরে।
সরল বসন,সরল হাঁসি, সহজ চাওয়া-পাওয়া,
তুলসি তলায় সন্ধা-প্রদীপ, সবার ভালো চাওয়া।
তাইতো ভাবি থাকবো ভালো, নাইকো হেথা ভয়,
পরেরবারে জনম যেন ঐ গাঁয়েতেই হয় ।।
লেখক-নিশিকান্ত দাস তাং-১৮-০৮-২০১৩
ফোন নং-৯৪৩৩৪৪২০৮২