এখন  কেউ নেই,
  শেয়াল কুকুরের  ডাক ছাড়া..?
প্রগাঢ় রাত্রি
ঝিকিমিকি নক্ষত্রের জ্বলন্ত আলো
ক্ষুধায় জ্বলে,
শরীরের ছায়া ভেসে ওঠে প্রান্তরে
জোনাকির শাখায়
      উদাসীনতা  প্রাণপণে  ঠেলে।

ঝিমানো রাত্রি
বেদনার মতো  জড়িয়ে ধরে রাখে
পায়ে পায়ে চলা
পথে-ঘাটের  স্নিগ্ধ ফুলের  ঘ্রাণে
আলস্য ঘুম
  কাটেনি পুরোপুরি  শতাব্দীর চোখে
সারল্য গ্রামে
বুভুক্ষু দীক্ষায় বসতি  স্বপ্নতে জাগে।

মন্দিরের  নগ্ন প্রতিমা
    প্রহরীর মতন  জেগে থাকে
অলিগলিতে প্রহেলিকা,
       ধর্মসাধনার  মহার্ঘ্যপাপে
প্রতিবিধান শুধু
  বিলাসপরায়ণ  অজ্ঞান অন্ধত্বে
তবুও ঘরে ঘরে
  জ্বলে ওঠে আলো  তত্ত্ব বিশ্বাসে।

খাদ্যনালী আজ
   শুকিয়ে গেছে  ভগ্নদশার টানে
অপচয় কত
  প্রাণহীন মূর্তির  নৈবেদ্যর থালায়।
বিষফল  ছিঁড়ে খাও,
গায়ে  আগুন জ্বালো, তবুও
অন্ন জুটিয়ে  দেওয়ার মতো,
           ....  না  এখন  কেউ নেই..।