বুকের মাঝে অশ্রুস্রোত, অধর চঞ্চুতে  মৃদু হাসি
সর্বাঙ্গ অগ্নিদগ্ধ  গুলি বারুদের গন্ধ ভালোবাসি
বারবার ডাক আসে  যুদ্ধ তটে, আর্তনাদের  ধুম
প্রতিরাতে রহি নিদ্রাহীন, কেড়ে নেয়  সুখের ঘুম।

দুর্ভিক্ষ  তাড়া করে, শান্তি  দেয় না  কোনোমতেই
জ্বলে পুড়ে শুকিয়ে যায় কন্ঠজঠর ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্থেই
তবুও  উঁচু করে মাথা, হেঁটে চলি  আহতি  শরীরে
অসহ্য জ্বালা  হয় না সহ্য, শেষ করি পথ  অধীরে।

বিক্ষোভ জাগে চারিপাশে, মৃত আমি ভগ্নাবশেষ
শত্রুর হাতে  পরাস্ত হয়ে, হয়েছি আমি  নিঃশেষ
প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী মেতে ওঠে সন্দিগ্ধ  রক্তখেলায়
পায়ে  জড়াই সর্পদল, আলোকহীন অন্ধবেলায়।

বিষাক্ত বংশগত  সরীসৃপ  ধারালো তাহার দাঁত
প্রবহমান পথে  নিঃশ্বাসের শব্দ শুনি  হীন জাত
শীত ঘুমের  গর্ত রেখে  বেড়িয়ে আসে  জনতায়
লতার  মতন  পেঁচিয়ে ধরে  দংশনে  ফিরে  যায়।

অপমানের লজ্জায়  লজ্জিত আমি  দ্বারে দ্বারে
তবুও নির্লজ্জ ভাবে যাই  আত্মীয়তার অনুসারে
ঠাঁই নেই সেখানেও, পিছু ছাড়ে না যুদ্ধ  আমার
ভালোমন্দে  পাই আমি  গরল প্রসাদের উপহার।

ধনবান নই আমি, সংসারের পরিকাঠামো দুর্বল
দু পয়সা রোজগেরের সামনে হই, আনত কেবল
ছিন্ন করতে  পারি না আমি, রক্তের  দৃঢ় সম্পর্ক
নিজ জীবনের কাছে হেরে গিয়ে, হই  আমি খর্ব।

আর কত লুকিয়ে রাখবো মুখ, আতঙ্কে পথচলা
জড়তা আজ বাসা বাঁধে, সাহস  নেই কথা বলা
এই প্রতিবাদহীন সংগ্রামে ভেঙেযায় ধৈর্যের বাঁধ
বিপ্লবী সন্ত্রাস মনোভাব জাগ্রত হয় মনে পরবাদ।

হিসাবের খাতা নিয়ে বসে হিসাব কষি বিদ্রোহের
আর কত যুদ্ধে  ক্ষত হবে মোর প্রাণ  রকমফের
মুক্তির আঙিনায় রক্তেরদাগ থেকে যাবে জীবনে
বিশ্বস্রোতে লড়িব যুদ্ধ একা, যোদ্ধা হবো নির্জনে।