আর যা আছে মরীচিকার পিছে হাতড়ে বেড়াই
ধূ-ধূ মাঠ, বালিয়াড়ির তপ্তভূমিতে পরিশ্রান্ত প্রাণ
বাষ্পীভূত হয়ে যায় নিমেষে, তপ্ত বালুর উষ্ণতায়
শুকিয়ে যায় জীবনের কোমলতা.. অন্তকালে।
উদ্বেগহীন কঙ্কালদেহ পড়ে আছে আমার, এখন
যৌবনের অস্ত্র দিয়ে প্রতিরোধ করতে যাই যুদ্ধ
পারি না...নরকের কুন্ডে জ্বলে পুড়ে মরি আমি
নিজের ভিতরে কেবল, আধ খোলা চোখে আমি
দেখতে পাই আলোছায়ায় দাঁড়িয়ে হাঁকে যেন
আমারই মতন কেউ, কটাক্ষ প্রার্থনায় জড়িয়ে
নিতে চায় তার শরীরের মাঝে একযোগে ধার্মিক।
এখন প্রহরীর মতন পাহারা দিয়ে ঘিরে রয়েছে
বিলোপ, গুমোটভরা থমথমে পরিবেশ ওঠাপড়া
গভীর ঘুমের নিশ্বাস নিয়ে ফুলে ওঠে বুক, ঝঞ্ঝা
শুধু ঊর্ধ্বশ্বাসে নৃত্য করতে থাকে প্রদীপের শিখা
অলীক রাত্রি ঘিরে রয়েছে শিয়রে আমার, এখন
শুধু পবিত্র ঘুমে, ঘুমোতে চাই কোলের উপর।
এখন আর বাধা দেবার ভাষা নেই তোমার মুখে
জানি, আমি বিবস্ত্র ঈশ্বরের দূত, মিছে কেন তবু
প্রতীক্ষার ভঙ্গিতে চেয়ে আছো পথ, আমি এখন
সস্নেহের শিশু, শত যত্নের প্রলেপে সাজিয়ে দেবে
আমায় তুমি, ফুলের সুবাসে, রক্তের টিকায়।
ওই যে আলোছায়া বসে আছে আজ আমার জন্য
দৃঢ় তার প্রার্থনা, মিলিয়ে নেবে তার স্বরের তারে
শুধু পড়ে রবে আজ তার সুর, নির্বাক পরিহারে
একান্ত...শয্যায়।