আমার শরীরের মাঝে  পড়ে থাকে  অদৃশ্য  বাস্তব
তার সাথে আমি কথা বলি, কিন্তু সে সারা দেয় না
মুখ লুকিয়ে পড়ে থাকে সে বিশাল জগতের মাঝে
অন্ধকূপে অন্ধকারে  বদ্ধ হয়ে বিকিরণের  চালনা
করে, শক্তি জুগিয়ে উপহার দেয়  অভিনব দিনের।

অন্ধবিশ্বাসে সর্বভার আমি  তার উপর সঁপে দিয়ে
নিশ্চিন্ত ভাবে  বসি থাকি, কিন্তু সে  বিশ্বাসঘাতক
শরীরের সর্বশক্তি  বিহ্বল করে, বিচ্ছুরিত জ্যোতি
চোখের আগল থেকে  ছিনিয়ে নিয়ে, বুকের মধ্যে
সমস্তবায়ু হাতের মুঠোয় ভরে, হয়ে যায় নিরুদ্দেশ।

সে বাস্তব তবুও সে অদৃশ্যতায় তাকে যায় না ধরা
কেবল শুধুই  অদৃশ্য টুকু  উধাও হয়ে, পড়ে থাকে
আমার বাস্তব কায়া, হয়ে যায়  সে  চির-আত্মপর।
তার  অনুকূল বাতাসে  আলেয়া রূপে  গড়ে নেবে
আবার  নতুন শরীরের মাঝে  তার নিজ অট্টালিকা...

জানি না....! আমিই শুধু  উপহারে পাই...রত্নকোষ
থেকে  নষ্ট কোষের, দীর্ঘদিন ক্ষুধার্ত মাছিদম্পতিরা
ঘিরে  ধরে  আমাকে, লক্ষ্য  এখন  বিছানায়  পড়ে
থাকা  বিশ্রামরত শরীরের, আত্ম অভিঘাতে  ছিঁড়ে
ছিঁড়ে খায় রক্তমাংস, নিঃশেষে  হতে থাকি অর্ধেক।

সেই আমি, ধীরে ধীরে এখন পচতে শুরু করি অঙ্কে
ভিতর বাইরে  পচাগলার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে, মিশে
যায় বাতাসের স্রোতঃপথে, নির্ঝরে ঝরে পড়ি  বালু
কণায়, আদি জন্মের গর্ভপত্রে, করেছিল  যে আমায়
সূচনা, সে'ই আজ আমাকে  উপসংহারে রেখে, নব
শরীরের খোঁজ করে, করছে উৎসব, অদৃশ্য বাস্তবে।।