সবকিছুই মনে আছে, তবে  কিছুই আর  মনে করি না
হাওয়া বদলাচ্ছে  প্রতিনিয়ত, জলন্ত মোমবাতি গুলো
ফুরিয়ে যাওয়ার দিন  আজ, দরজা ঘেঁষে  বসে থাকা
আমার যমদূত, নৈঃশব্দ্যে  প্রহর  গুনছে  যাত্রা পথের।

কিছু বুঝতে পারার আগেই, শরীর হয়ে যায় হিমশৈল
যেন কিছুর অবসান হবে আজই, ঘরদুয়ারে ক্রুর ভার।
সারাদিনে গুম হয়ে থাকা আকাশ, রূপ নেয় ভয়ংকর
হঠাৎই বদলে দেয়, পরিবেশের স্নিগ্ধতা, ক্রুদ্ধ ঝটিকা।

মুখে মুখে বেজে ওঠে গান , এ গান  শেখায় কারা সুরে
শোরগোল  কলরবে, হরিসভা ভরে যায়  নাটকীয়তায়।
চুলছাঁটা নাপিতের প্রাণ, পালিয়ে যেতে চায় ঘর থেকে
তবু মাথায়  হাত বুলিয়ে তার, প্রতিরোধ করি  যাত্রাকে।

শরীরে আজ তপ্ত জ্বরের আগুন, ভিতরে সমস্ত মন্দির
প্রাঙ্গণ, জ্বলে জ্বলে গেছে  প্রতিনিয়ত, খোঁজ রাখি নি,
উপহাস করে, হেয় ফেলে দিই মোর ব্যাধিতে আবরণী,
বিধাতার বিচার কঠিন, বিবেকদংশিত হয় অভিসন্তাপে।

এখন  অন্ধকার পথেই  ক্রমশ ঠেলে দেয় , জীবনধারণ।
ঘৃণার বুক থেকে  ভালোবাসা পেয়ে  ঘর করে  দ্যুতিময়।
সংসারের সমস্ত অচল কোণ থেকে একে একে খুলে যায়
শেকল গুলো, ভারী হচ্ছে সন্ধিক্ষণে ক্রুর যামিনী, তারপর.......