পূর্ণিমায় লক্ষ্মীর আসন
সাজিয়ে পাতি সযতন
                          পঞ্চের  নৈবেদ্য
জাত্যংশের জলসাঘরে    
ভক্তি থাকে  আতান্তরে
                         লঘু করো দুর্ভেদ্য ।

চিত্তবিকারে ওঠে  নাদ      
জ্বলে আলোর পূর্ণচাঁদ
                         আভা আনি তলে
গগনে তাই পাতা মেলি      
অশ্রু বারির কণা ফেলি
                        ঝরে যাওয়া পলে ।

দীন অভাবের মাঝে বসি    
দেখো তুমি  কে-বা দোষী...!
                            কর্ম  করেই  চলি
সদাই তবু অভাব আসে      
আঁধার ঘনায় চারিপাশে
                            অন্ধ অযুত গলি ।

দুর্ভিক্ষের  দারিদ্রতা      
কে মেটাবে রাহিত্যতা...?
                           দেখাও মোরে পথ
অশনআসন,বসনবাসন    
পূর্ণ আজি হৃদের ব্যসন
                            পরম দ্বেষে  ক্ষত ।

ধান চাউলের ধাত্রী তুমি        
ভরাও মাঠে  ক্ষেত্র ভূমি
                       রৌদ্রে সোনার ফসল
বর্ষে বর্ষে নানান জাতে        
ঘরে তুলি  যুদ্ধের সাথে
                          ঝরিয়ে  ঘর্ম  জল ।

লোকহিতের ঘরে ঘরে        
সাজাই ডালা পূর্ণ করে
                         তোমার চরণে রাখি
ভাঙা ঘরের  রাজাসনে      
দেখি তোমায় ঘোরমোহনে
                          বসিয়ে দুঃখ ঢাকি ।

গগন জুড়ে জ্যোৎস্নারাতি      
জ্বালাই ঘরে মোমেরবাতি
                    জ্বলে ওঠে তোমার আনন
নিখিলানন্দের কলরবে          
জাগায় প্রহর সগৌরবে
                       ফুটিয়ে  কুসুম  কানন ।

গোপন কিছু  করি  না-কো        
পরশ তোমার ছায়ার সাঁকো
                         অভাব করো তুমি পার
বিশ্ব জগৎ  দেখছে  মোরে        
নিখিল  আকাশ  রবিকরে
                        তাকিয়ে আছে  সংসার ।