আগুনের ভস্ম থেকে উঠে এসেছি আজ
খুন হয়ে গেছিলাম যবে, দলবদ্ধ সন্ত্রাসের
তলোয়ারের ঘায়ে, প্রতিহিংসার ঢেউয়ের
ঝাপটায়, আপন জাত্যংশের প্রাচ্য ঘটিত
সংঘাতে।
ঘন অরণ্যের বন্য শিকারীর বর্শা ফলার
অভীষ্ট নিশান, ক্ষিপ্র-বেগে ছুটে নির্ঘাতে
গেঁথে যায় পতিহীনা নারীর বুকে, নিরন্ন
অসহায় বিধবার সাদাশাড়ি, কলঙ্ক লাগে
লোহিত কণায়, উচ্চহাস্যে রঙ্গ তামাশায়
মেতে ওঠে অভিঘাতী।
বারবার মন্ত্র জপে, মন্ত্রসাধক অগ্নিকুণ্ডে
মাদক ধোঁয়ায় বশীভূত হয় নিরীহ সতীর
মনন, স্বরবৈষম্যে আবৃত হয়ে শূন্য করে
মায়ের কোল, ভন্ড সাধুর কুমন্ত্রণায় ঋত
বিভীষণের দক্ষ কারসাজির.. জালকে
জড়িয়ে, নির্বাসিত আজ বংশধর।
রক্তের সুতোয় বাঁধা, রক্তের বাঁধন বিচ্ছিন্ন
হৃদয়হীন জ্ঞাতির, ঘরের কোণে মৃত লাশ
পচেগলে, দুর্গন্ধ ছড়ায় বাতাসের উপমায়
দরজার খিল ভেঙে সহায় না করে, পাশ
ফিরে চলে যায়, সগোত্র।
সম্মুখে সংঘর্ষ দমে যায়, তবু, মনে মনে
দ্বন্দ্বের বীজ হতে থাকে অঙ্কুরিত, বৈগুণ্য
আভাসে, ছুঁয়ে যায়, হয়ে ওঠে.. গগনচুম্বী
দুঃশাসন, কালো মেঘে গর্জে ওঠে কলহ,
বানডাকা জলে ভেসে যায় সংসার।
আজ আঁধারের মাঝে রক্ত ঝরে যায়
পিছু ফিরে তাকানোর জো নেই, ফেরার
পথ হয়ে গেছে রূদ্ধ, ঘুমন্ত শরীর, সংঘর্ষ
লাঙলের ফালে চিঁড়ে যায় কোমল বুক
নিত্য রাতে, ঝরে পড়া রক্তের প্রত্যপহার
করি না আমি, আমার রক্তশূণ্য।
আর নয়, এবার নখের আঁচড়ে, গড়ে যাব
আমি সাম্রাজ্য, নব প্রজন্মের,নব সংস্কারে
তর্জনী উঁচিয়ে, বলে যাব, সব মিথ্যা, সব
ভুল, এই প্রতিহিংসার দ্বন্দ্বকলহের জ্বলন্ত
আগুন, নিভিয়ে যাব...বুক চেঁড়া আমার
কাঁচা রক্ত দিয়ে। তাই আমি উঠে এসেছি,
আগুনের ভস্ম থেকে, নবজন্মে ন্যায়াধীশ
সন্নিবেশ নিদর্শনে।।