কঠিন হয়ে দাঁড়ায় দ্বন্দ্বের মাঝে বেঁচে থাকাটা
তবুও বেড়ে উঠি, ভালো মন্দ বিচার নিঃসহায়ে।
কুলাঙ্গার গুলো আজ মরেছে, শুধু জিইয়ে রেখে
গেছে, সংঘাত বিবাদ, মতবিরোধ, সংসার দুয়ারে..!
দীর্ঘদিন উজ্জ্বলিত প্রাসাদ আজ অন্ধকারাচ্ছন্ন
কঙ্কালের মতো শীর্ণ দেহ গুলো দাঁড়িয়ে থাকে
মূর্তি-রূপে, হাওয়া এসে ভেদ করে যায় পিঁজর
ক্ষমতাহীন শরীরে, প্রতিবন্ধকতা, প্রতিরোধ....
করতে পারে না গোলাবর্ষণ...!
গৃহের কোণে কোণে আজ রক্তের বীজ বপন
অবাধ্য বিক্ষোভের আঁচ পেলে হতে থাকে তারা অঙ্কুরিত, ডালপালা ছেয়ে যায় বেগবানে, ফুলে ফুলে ভরে ওঠে
শাখা-প্রশাখা, ঘুমন্ত নিঃশ্বাসে বিষিয়ে যায় সর্বশরীর
সঙ্গিন ঘ্রাণে।
আজ আমি অসহিষ্ণু তন্ত্রে বশিভূত, কারাগারে
বন্দী থাকি তার জপের থলিতে, ব্রাহ্মণ বৈষ্ণব,
আঁশ পুড়িয়ে মত্ত রাখে আমাকে তন্ত্র সাধকেরা,
হোমাগ্নি শিখায় আকাশ চুমি, ছাই হই পুড়ে স্তবে,
বেরোতে পারি না, পদবিন্যাসে অঙ্কিত কাষ্ঠের
জাল ছিঁড়ে, মুক্ত ত্রাণে। হোমানলে জ্বলে পুড়ে
বাষ্পীভূত হয় সর্ব-শরীর, পড়ে থাকে জীবনের
অন্তিম অঙ্গার।...দ্বন্দ্বের মাঝে...!