বারুদের ধোঁয়ায় ঘনিয়েছে রাত্রি আমার
সদয় হতে চেয়ে, হয়েছি কখনো.. নির্মম
নরম হাতে..তুলেছি আগ্নেয়াস্ত্র প্রতিরোধে,
নিরপরাধ কোমল বক্ষ এখন লক্ষ্যসন্ধান।
জীবন এখন তামাশা করে..হেঁয়ালিপনায়
খবর পাঠায় তার..ছিন্নমূর্তির রক্তস্রোতের
বিক্ষোভে ঠাসা কার্তুজে বিস্ফোরণে দিন যায়
সংগ্রামের ঘোষণা ধ্বনিত হয় আমার জীবনে।
পালিয়ে বেড়াই আমি নির্জনতার মিছিলে,
অহিংসক প্রতিদ্বন্দ্বীহীন জনস্রোতের নেপথ্যে
হরতালে কড়া শাসন ভাঙি সমাজ পৃথিবীর,
নিষিদ্ধ অন্যায়ে গারদে থাকি ধর্ম-সভায়।
এ সংগ্রাম তবু নিশ্চিত, আঁধারে ডুবে থাকে
মন অজ্ঞতায়, মায়াময় আঁধারের জালকে
বশীভূত করে রাখে ডাকিনীবিদ্যা, জীবনের
সুলভ মুক্তি হয় না আর, ঈশ্বরের বন্দনায়।
দগ্ধবারুদ কণিকায় জীবন আজ ধোঁয়াশায়
ভরা, পৃথিবীর সংসারে শত মৃত্যুর কারখানা
নির্মাণ, পচাগলা কঙ্কাল দেহ... আত্মরক্ষায়
উদ্বিগ্ন অনুকম্পার প্রাচীর, ভগ্নাংশ জীবনে।