যখন....
ফাঁসির দড়িতে ঝুলে পড়ি, পড়ন্ত বিকেল তখন
ডাকে আমায়, ধুলোমাখা গায়ে ছুটোছুটি করা
আমার শৈশব, আকাশের নীচে ঘর বাঁধা পৃথিবী।
সমস্ত জুড়ে আমি আছি দুরন্তপনায়, বদ্ধদেয়াল
রূদ্ধকরি অন্ধকারে, নিজের হাতে এখন ভাঙতে
গেলে ভেঙে যাই আমি, ছুঁতে গেলে যাই মিলিয়ে।
বাল্য কন্ঠের ধ্বনি শুনতে পাই এখন আমি তাও,
রঙিন স্বপ্ন টুকরো টুকরো করে ভেঙেছি নিজেই
আমার পায়ে ধরে কাঁদতে চায় এখন ওরা, কিন্তু..
জীবন শূন্যে জীবন আমার, পা ছুঁতে পারে না..!
এখন আমি শান্ত হয়েছি, সহস্র খন্ডে ভেঙে ভেঙে
নিজেকে বিদ্রুপ করি, গঞ্জনা দিই মর্ম বুঝে মর্মে।
হাত বাড়িয়ে দিই দিগন্তের শেষে, লুটে নিতে স্বাদ।
আমি পারি না, মুঠোয় ভরতে, সব কিছু আমার
বেড়িয়ে যায় আঙুলের ফাঁক দিয়ে নিমেষেই সব।
পৃথিবীরকোলে নিশ্চিহ্ন আমি পড়ে থাকেনা চিহ্ন।
ক্রন্দিত অশ্রু ঝরিয়ে কে যেন ডাকে আমায় রোজ
আমি বধির, তার ডাকে সারা দিয়ে, চিৎকার করে
যদি বলতে পারতাম.... আমি..
আর একটিবার জন্মাতে চাই, জন্মতে মৃত্যু নয়।
যদি জন্ম হয়, যদি জন্ম হয়।