এতোদিন ঘুমের ঘোরেই অচেতনে সময়  গেছে বয়ে
চেতনা জ্ঞান  জেগে ওঠা মাত্রই  সজোরে  টনক নড়ে,
কবিরাজের  মুখভঙ্গিমায়  ভরসার সকাল  হয় ফিকে
কথার থাবায়  বুকের পাঁজর দুমড়ে মুচড়ে  দেউলিয়া।

জানি আর সময় বেশি নেই, তবুও একবার উদ্যোগী
যদি ফেরানো  সম্ভব হয় ধর্মশাস্ত্রবিদ বসে সম্মেলনে।
বুকে বাঁধা  আশা নিয়ে  চলে যাই আমি অন্তর্বিভাগে
ভেঙে যাচ্ছে শুনতে পাচ্ছি ভিতরের আর্তনাদের শব্দ,
সমস্ত শরীরে  শিথিলতা, গ্রন্থি শুকায়, বেড়িয়ে আসি
মলিন মুখে, হাতছানি দিয়ে ডাকে, শৈশবের স্নিগ্ধতা।

পশ্চিম প্রান্তের দিকে ফিরে তাকাই  খুঁজে চলি ভাগ্য
তটিণীর তীরে তীরে তখন দুঃসাধ্য সাধনায় ভাসিয়ে
দিই  উপাসনায়  মালামন্ত্রের ছিন্নপুষ্পকলি গোঁয়ারে,
জানি আজ  ভরসাও ক্রমশ হচ্ছে ক্ষয়, বিশ্বাস শুধুই
অবিশ্বাস ভেঙে  সংস্থারে অঞ্জলি দিই পাষাণ বেদির।

আর এখন পাপ পূণ্যের মেলবন্ধন একযোগে বিদ্বান
স্তুপে স্তুপে লেখা থাকে শুধু অকার্যের  অনিষ্ট সাধুতা
জীবন তো ফিরবে না, রক্তেরটান মজবুত হয় আরো,
নিরুপায়ে আমি শুধু  ক্ষয় হতে দেখি  নিজের চোখে,
খানিকটা  নিজে হই, খানিকটা হয়  সংসার, তারপর....